• ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

মস্কোতে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের সম্পদ পাচার করেছেন আসাদ

usbnews
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
মস্কোতে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের সম্পদ পাচার করেছেন আসাদ
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে একটি চমকপ্রদ তথ্য সামনে এসেছে। ক্ষমতাচ্যুত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকার প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার নগদ মস্কোতে পাঠিয়েছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে দুবার সিরিয়া থেকে রাশিয়ায় টাকার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দুই টন ১০০ মার্কিন ডলারের বিল ও ৫০০ ইউরোর নোট রয়েছে। এই নোটগুলো মস্কোর ভনুকোভো বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে এই অর্থ বিভিন্ন রুশ ব্যাংকে জমা করা হয়েছিল।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, আসাদের আত্মীয়রা একই সময়ে গোপনে রাশিয়ায় সম্পদ ক্রয় করছিলেন। এফটি বলেছে যে, এই লেনদেনগুলি দেখায়- আসাদের সরকার কতটা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলিকে বাইপাস করার চেষ্টা করেছিলেন। হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এর নেতৃত্বে ১১ দিনের বিদ্রোহী আক্রমণের পর আসাদ ৮ ডিসেম্বর সিরিয়া থেকে পালিয়ে যান। ২০০০ সালে বাবা হাফেজ আল-আসাদের মৃত্যু হলে সিরিয়ার মসনদে বসেন বাশার আল আসাদ। কিন্তু জলঘোলা হতে শুরু করে ২০১১ সালে। আরব বসন্তের হাওয়ায় উত্তাল হয়ে ওঠে মরুপ্রদেশটি। আকাশ বাতাস কেঁপে ওঠে একনায়ক হঠাও, গণতন্ত্র ফেরাও স্লোগানে। শুরু হয়ে যায় গৃহযুদ্ধ। আসাদকে গদিচ্যুত করতে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিদ্রোহীদের যৌথমঞ্চ ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস’ (এসডিএফ)। সেই থেকেই আসাদের বিরুদ্ধে দেশের সম্পদ লুট করার অভিযোগ উঠছে।

যুদ্ধে ৫ লাখেরও বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং দেশের অর্ধেকেরও বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। আসাদ বেশ কয়েকজন বিরোধী ব্যক্তিত্বের সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন যারা তার সরকারকে সিরিয়ার সম্পদ লুটপাট করার এবং যুদ্ধে অর্থায়নের জন্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের দিকে ঝুঁকছেন বলে অভিযোগ করেছেন।

নিয়ার ইস্টার্ন অ্যাফেয়ার্সের সাবেক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড শেঙ্কার ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন যে, ‘এই অর্থ স্থানান্তর বিস্ময়কর নয়। শাসকদের তাদের অর্থ বিদেশে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসতে হবে… শাসন এবং তার অভ্যন্তরীণ বৃত্তের জন্য সুন্দর জীবন অর্জনের জন্য তারা এই অর্থ ব্যবহার করতে চাইবেন।’