• ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

জিম্মি মুক্তি চুক্তির দাবিতে ইসরাইলে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ

usbnews
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪
জিম্মি মুক্তি চুক্তির দাবিতে ইসরাইলে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে জিম্মিদের উদ্ধার করতে একটি চুক্তি সইয়ের দাবিতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ বিক্ষোভ করেছেisem

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।

সাম্প্রতিক সময়ে গাজা যুদ্ধ বন্ধ এবং জিম্মি মুক্তি নিয়ে হামাস ও ইসরাইল উভয় পক্ষই আলোচনায় অগ্রগতির কথা জানিয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত একমত হতে পারেনি।

শনিবার হানুক্কার চতুর্থ রাতে হাজার হাজার জিম্মি চুক্তি সমর্থক সমাবেশ এবং দেশ জুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়।মিছিল শুরু হওয়ার আগে তেল আবিবে এক সংবাদ সম্মেলনে বেশ কিছু জিম্মির পরিবার নেতানিয়াহুর তীব্র সমালোচনা করেছেন।

জিম্মি নিমরোদ কোহেনের বাবা ইহুদা কোহেন দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিশ্বাস করার জন্য প্রতারণা করার চেষ্টা করছেন। তিনি (ট্রাম্প) হামাসের সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সত্যিই আগ্রহী।

কোহেন বলেন, প্রিয় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, নেতানিয়াহু আপনাকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। যুদ্ধের অবসান এবং সমস্ত জিম্মিকে ফিরিয়ে দেওয়া ইসরায়েল রাষ্ট্রের স্বার্থে, আপনিই হতে পারেন শেষ ব্যক্তি যিনি নেতানিয়াহুর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে সক্ষম। একটি আংশিক চুক্তিতে আপস করবেন না, যা বাকি জিম্মিদের জন্য মৃত্যুদণ্ডে পরিণত হবে এবং যুদ্ধের অবসান ঘটাবে না।

তিনি আরো বলেন, যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া এবং গাজার সামরিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার বিষয়ে নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আলোচনা সরকারে চরমপন্থীদের কাজ করে এবং এটি ইসরাইলি স্বার্থের পরিপন্থী।

এদিকে হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, দখলদার সেনা প্রত্যাহার, যুদ্ধবিরতি, বন্দি বিনিময় ও বাস্তুচ্যুতদের প্রত্যাবর্তন নিয়ে নতুন শর্ত আরোপ করেছে, যা বিদ্যমান চুক্তিতে পৌঁছানোর পথে বাধা সৃষ্টি করেছে।

সংগঠনটি জানিয়েছে, তারা নমনীয়তার পরিচয় দিচ্ছে এবং কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় আলোচনা এগোচ্ছে।

অন্যদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, হামাস মিথ্যাচার করছে, আগেই পৌঁছানো সমঝোতাকে অস্বীকার করছে এবং আলোচনায় বাধা সৃষ্টি করছে।

তবে তিনি যোগ করেছেন, ইসরাইল তাদের জিম্মি নাগরিকদের মুক্ত করতে অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

এদিকে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরাইল কাটজ গত বুধবার সন্ধ্যায় পুনরায় নিশ্চিত করে বলেছেন, নিরাপত্তা অঞ্চল এবং বাফার জোন প্রতিষ্ঠা করতে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে চায় তার দেশ।