• ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

ট্রাম্প ও বিশ্ববাসীকে ফিলিস্তিনিরা : আমরা গাজা ছাড়ব না

usbnews
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৭, ২০২৫
ট্রাম্প ও বিশ্ববাসীকে ফিলিস্তিনিরা : আমরা গাজা ছাড়ব না
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা উপত্যকা খালি করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি গাজার ১৫ লাখ বাসিন্দাকে মিসর ও জর্ডানে সরিয়ে নিতে চান। তবে ফিলিস্তিনি নেতারা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। খবর এএফপির

ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ‘আমরা আমাদের জমি ছাড়ব না।’ হামাসও একই অবস্থান নিয়েছে। তারা ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে অগ্রহণযোগ্য বলেছে।

গাজার বাসিন্দারা জানাচ্ছে, তারা গাজা ছাড়বেন না। সেখানকার বাসিন্দা রাশাদ আল নাজি বলেন, ‘যা কিছুই হোক, আমরা গাজা ছাড়ব না।’

আরব দেশগুলোও এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আরব লীগ বলেছে, ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে উৎখাত করা জাতিগত নিধন।

ট্রাম্পের এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে মিসর ও জর্ডানও প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা ফিলিস্তিনিদের অধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদ করেছে।

গাজায় এখনো যুদ্ধবিরতি চলছে। কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি সেনারা ২০০ কারাবন্দী মুক্তি দিয়েছে। তবে গাজার বাসিন্দারা ফিরে আসতে পারছেন না।

ফিলিস্তিনিরা একজোট হয়ে বলছে, ‘আমরা গাজা ছাড়ব না, এটি আমাদের।’

গাজা খালি করতে চান ট্রাম্প, কোথায় যাবেন ফিলিস্তিনিরা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে সরিয়ে গাজা উপত্যকা খালি করতে চান। তিনি মিসর ও জর্ডানের প্রতি গাজার বাসিন্দাদের আশ্রয় দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গত শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প তার এ প্রস্তাব তুলে ধরেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চাই মিসর ও জর্ডান গাজার আরও ফিলিস্তিনিকে তাদের দেশে আশ্রয় দিক। গাজা উপত্যকা এখন একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।’

তিনি বলেন, গাজার প্রায় ১৫ লাখ বাসিন্দাকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া উচিত, যেহেতু গাজার অধিকাংশ অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং সেখানে মানুষ মারা যাচ্ছে।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছেন এবং মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও আলোচনার কথা রয়েছে।

ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে গাজার সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগঠন প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। সংগঠনটি দাবি করেছে, ট্রাম্পের মন্তব্য যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ইঙ্গিত দেয়। ফিলিস্তিনিদের তাদের নিজ ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প।

এদিকে গাজার বাসিন্দারা তাদের বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। ইসরায়েলি সেনারা যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করার অভিযোগ তুলে গাজার একটি প্রধান সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। এর ফলে, হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি গাজার উত্তরাঞ্চলে তাদের বাড়ি ফিরতে পারছেন না।

ইতিহাসবিদরা মনে করছেন, গাজার ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে স্থানান্তর করা হলে ১৯৪৮ সালের নাকবার (মহাবিপর্যয়) ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। কারণ ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় লাখ লাখ ফিলিস্তিনি তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছিল।