• ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অপসারণের বিরোধীতা করে যুক্তরাষ্ট্রকে ৫ আরব দেশের চিঠি

usbnews
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫
গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অপসারণের বিরোধীতা করে যুক্তরাষ্ট্রকে ৫ আরব দেশের চিঠি
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

ফিলিস্তিনের গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অপসারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তার বিরোধীতা করে যুক্তরাষ্ট্রকে চিঠি দিয়েছে পাঁচটি আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর কাছে ওই চিঠি পাঠিয়েছেন তারা। সেখানে তারা গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অপসারণের পরিকল্পনার বিরোধীতা করেছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এতে বলা হয়, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে পাঠানো ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছে জর্ডান, মিশর, সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তাদের পাশাপাশি ওই চিঠিতে সই করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হুসেইন আল শেখ। তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিষয়ে সপ্তাহান্তে কায়রোতে আরব দেশগুলোর কূটনীতিকদের একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

২৫ জানুয়ারি প্রথমে জর্ডান ও মিশরকে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেয়ার প্রস্তাব দেন ট্রাম্প। সেসময় সাংবাদিকরা জানতে চান- গাজাবাসীদের স্বল্পমেয়াদে নাকি দীর্ঘমেয়াদে সরিয়ে নেয়া হবে। জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, যেকোনোটিই হতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওই মন্তব্যের পর সমালোচকরা বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের তাদের ঘরবাড়ি থেকে স্থায়ীভাবে বিতাড়িত করতেই এমন প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প। তারা এটিকে জাতিগত নির্মূলের প্রস্তাব হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। অবশ্য তখনই ট্রাম্প্রের প্রস্তাবের বিরোধীতা করেছিল জর্ডান, মিশর এবং অন্যান্য আরব দেশ।

মার্কো রুবিওর কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, গাজার পুনর্গঠন সেখানের জনগণের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততার মাধ্যমেই হওয়া উচিত। ফিলিস্তিনিরা তাদের ভূখণ্ডে বাস করবে এবং তারা পুনর্নিমাণে সহায়ত করবে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, উপত্যকাটি পুনর্গঠনের সময় গাজাবাসীর এজেন্সি কেড়ে নেয়া উচিত নয়। কেননা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায় পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মালিকানা অবশ্যই গাজবাসীদের কাছে রাখতে হবে।