রমজান মাসে রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণ করেন আলেপ উদ্দিন ।সাবেক র্যাব কর্মকর্তা ও এএসপি আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুম করা ব্যক্তির স্ত্রীকে ধর্ষণের তথ্য প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সাবেক র্যাব কর্মকর্তা ও এএসপি আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুম করা ব্যক্তির স্ত্রীকে ধর্ষণের তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
প্রসঙ্গত, সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আলেপকে নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। আলজাজিরার সাংবাদিক মউদুদ সুজনের ওই ফেসবুক পোস্টে লেখা, গুম হওয়া এক স্বামী বলছেন, পবিত্র শবেকদরের দিন রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণ করা হয় তার স্ত্রীকে। এর আগেও প্রায় তিনবার ধর্ষণ করা হয়েছে স্বামীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে। শেষবার ধর্ষণের পর স্ত্রীর মানসিক অবস্থার অবনতি হয় এবং কিছুদিন পরে মৃত্যুবরণ করেন।
সেই পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ধর্ষক র্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নাম আলেপ। স্বামী সবকিছু হারিয়ে যখন আলেপকে বারংবার ফোন দিতে থাকে আলেপ রিপ্লাইয়ে জানান, বন্দি মেয়ে বা বন্দি পুরুষদের স্ত্রীদের সঙ্গে এমন আচরণ এখানে অলিখিতভাবে স্বীকৃত।সেখানে উল্লেখ করা হয়, মানুষ কতটা নিচুতে নামলে নিজের মা-স্ত্রী-মেয়ে থাকা সত্ত্বেও একজন বন্দির স্ত্রীকে এমনভাবে ট্রিট করে! এই র্যাব কর্মকর্তা আলেপের বিচার সবার আগে হওয়া উচিত।
তাজুল ইসলাম বলেন, আলেপ উদ্দিন অসংখ্য গুম, খুন, নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত। এক আসামিকে গুম করে রাখার সময়ে তার (আসামির) স্ত্রীকে রমজান মাসে রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণ করেন আলেপ উদ্দিন, এর তথ্য প্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে।
আদালতে এই মামলার শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মো: তাজুল ইসলাম।
তিনি আদালতকে জানান, ২০১৮ সালে জনৈক বন্দিকে গুম করে তার স্ত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন আলেপ। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ভুক্তভোগী এর কিছুদিন পরই মৃত্যুবরণ করেন। গুম ও নির্যাতনসহ অমানবিক অপরাধের সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসা ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি অন্যতম। জঘন্য কায়দায় বন্দীদের নির্যাতন, নারীবন্দীসহ গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের নারী সদস্যদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আছে।
ঠান্ডা মাথার পুলিশ কর্মকর্তা আলেপ, খুন গুম আয়না ঘরের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ
এর আগে ১৪ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায় , পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে খুন-গুমের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ যে সব পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রয়েছে তাদের একজন ৩১তম বিসিএস কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিন। বরিশাল থেকে ধরে আনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
সূত্র জানায়, গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে এসব কর্মকর্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হলেও কোন পদক্ষেপ নেই মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত খুনসহ নানা অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিক হলেও তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের কোন উদ্যোগ নেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা পুলিশ সদর দফতরের। আলেপের মত পতিত আওয়ামী সরকারের আমলে খুন-গুমের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ যে সব পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রয়েছে তাদের দ্রত আইনের আওতায় আনা সময়ের দাবি।
একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খুন, গুম ও আয়না ঘরের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত বরখাস্ত সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান কারাগারে। জিয়াউলের মতো ঠান্ডা মাথার আরেক পুলিশ কর্মকর্তা অতিরিক্ত এসপি আলেপ উদ্দিন। র্যাবে কর্মরত থাকার সময় তার সহকর্মীরা জল্লাদ বলে ডাকেন, যা তিনি নিজেই বেশ গর্ব করে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করতেন।
৩১ তম বিসিএসের কর্মকর্তা আলেপ পুলিশের চাকরি শুরু করেন ২০১৩ সালে, এর ঠিক পরের বছরেই তার পদায়ন হয় র্যাবে। এর পর র্যাব-১১ তে পাঠানো হয় আলেপকে। ২০১৪ থেকে ২০২২ পর্যন্ত র্যাবে চাকরীরত ছিলেন আলেপ। দায়িত্ব পালন করেছেন ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার, মিডিয়া সেল ও জঙ্গি সেল ইনচার্জ হিসেবে। জঙ্গি দমনের নামে মানুষকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। নারায়ণগঞ্জ র্যাবে থাকাকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের এমপি গাজী গোলাম দস্তগীরের পক্ষে জমি দখলের জন্য বিভিন্ন নিরীহ মানুষকে অস্ত্র দিয়ে ফাসিয়ে দিতেন। এ রকম এক ঘটনায় তাকে নারায়ণগঞ্জ র্যাব থেকে বদলি করা হয় লালমনিরহাট জেলা পুলিশে। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির বলে এ আলেপ আবারও মাস দুয়েকের মধ্যে র্যাবে ফিরে আসে।

এবার র্যাবের ইন্টেলিজেন্ট শাখায় পোস্টিং পেয়ে সে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। বিভিন্ন নিরীহ আলেমদেরকে ধরে জঙ্গী সংগঠনের নাম দিয়ে আটক করে জেলে পাঠাত। এর পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে বিপিএম ও ডাবল পিপিএম (বার)। উল্লেখ্য যে আলেপ বিপিএম পুরস্কার পায় পুরস্কার প্রদানের আগের দিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ আলাদা আদেশে। এর পর তার বদলি হয় এসবিতে। সর্বশেষ এসবি থেকে বদলি করে রংপুর রেঞ্জে পাঠানো হয়। তার পর সংযুক্ত।
২৯ অক্টোবর ২০১৬ সিদ্ধিরগঞ্জে র্যাবের কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন। আলেপ উদ্দিন তখন র্যাব-১১-এর এএসপি ছিলেন। এ ধরনের বহু বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পরিবারের অভিযোগ, বরিশাল রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয় থেকে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনকে তুলে নেওয়া হয়। পরে তাকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
পুলিশে ঢুকেই হন আ.লীগের আস্থাভাজন, হাত পাকান গুম-ক্রসফায়ারে
নভেম্বর ১৫, ২০২৪ বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত খবরে জানা যায় – পুলিশে ঢুকেই আলেপ উদ্দিন হয়ে উঠেছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের আস্থাভাজন। চাকরির এক বছর পরই তাঁকে র্যাবে পাঠানো হয়। র্যাব-১১-তে দায়িত্ব পালনকালে তিনি গুম ও ক্রসফায়ার করে হাত পাকান। র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা ইউনিটে গিয়ে এই কর্মে অভিজ্ঞতা বাড়ান।
তিনি ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ মিলিয়ে অন্তত ২০টি গুমের সঙ্গে জড়িত।
কুড়িগ্রামের সাধারণ পরিবারে জন্ম নেওয়া আলেপ পুলিশে চাকরি পাওয়ার পরপরই বদলে যেতে থাকেন। অল্প সময়েই তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। তবে টাকা তিনি নিজের কাছে না রেখে ম্যানেজার নিয়োগ করেছেন।
তাঁর গ্রামে অন্তত পাঁচজন ম্যানেজারের তথ্য মিলেছে। নিজেকে সৎ হিসেবে জাহির করতে আলেপ এটা করেছেন। তাঁর দুই ভাই একসময় ছোটখাটো ব্যবসা করলেও কয়েক বছরে তাঁরাও কোটি কোটি টাকার মালিক হন। আলেপের কারণেই তাঁরা আলাদিনের চেরাগ পান।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ আমলে গুম ও ক্রসফায়ারের জন্য কিছু কর্মকর্তাকে সিলেক্ট করা হয়েছিল। তাঁদের একজন আলেপ। তিনি সরকারের যেকোনো অনৈতিক আদেশ পালন করতে দ্বিধা না করায় পুরস্কারও পেয়েছেন। শেখ হাসিনা তাঁকে দুবারই পদক পরিয়ে দেন। সূত্র মতে, রাজধানীতে আলেপের নেতৃত্বে ১০-১২ জনকে গুম করা হয়।
অনেক ব্যবসায়ীকে গুম ও ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে কোটি কোটি টাকাও হাতান তিনি। নারায়ণগঞ্জেও তিনি গুমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সেই আলেপকে বাঁচাতে প্রভাবশালী মহল উঠেপড়ে লেগেছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, তাঁকে বরিশাল থেকে আটক করা না হলেও তাঁর ব্যাংক কর্মকর্তা স্ত্রী ওয়াফা নুসরাত গত বুধবার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, গত মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে তাঁর স্বামীকে কর্মস্থল থেকে ‘ডিবি পরিচয়ে’ তুলে নেওয়া হয়। এর পর থেকে তাঁর খোঁজ মিলছে না। বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ নাজিমুল হক গতকাল বৃহস্পতিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আলেপের বিরুদ্ধে করা একটা মামলার বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং কথা বলার জন্য ডেকে নিয়ে যায়। এখানে তুলে নিয়ে যাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকার ডিবি আলেপকে ফোন করে ডেকে আনে। আলেপ একাই ঢাকায় আসেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
-67b6fd61ab1b1.jpg)
আলেপের বিরুদ্ধে গ্রামেও আলোচনা : আলেপ উদ্দিনের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ১ নম্বর হাড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম দেবোত্তর (চায়না বাজার) গ্রামে। তাঁর বাবা মৃত অজর উদ্দিন। তিনি বেঁচে থাকতে পাটের ব্যবসা করতেন। দুই বিয়ে করেছিলেন। আলেপ দ্বিতীয় সংসারের সন্তান। এই ঘরে তাঁরা চার ভাই ও তিন বোন। ভাইদের মধ্যে আলেপই উচ্চশিক্ষিত। অন্যরা এলাকায় ব্যবসা করেন। একসময় তাঁদের ব্যবসা ছোট হলেও আলেপ পুলিশে যোগদানের পর ব্যবসা বড় হতে থাকে।
তাঁর গ্রামের এলাকার এক ব্যক্তি জানান, আলেপের ছোট ভাইয়ের নাম আলতাফ হোসেন। আলতাফ আলুর ব্যবসা করতেন। কয়েক বছরে তিনি অনেক সম্পত্তির মালিক হন। অন্তত ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি গড়েছেন। ৩০ বিঘা জমিতে পুকুর করেছেন। আলেপের বড় ভাই আবু তাহের ধানের ব্যবসা করেন। তিনিও কয়েক বছরে কোটি কোটি টাকার মালিক হন। বিষয়টি গ্রামে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এসব বিষয়ে জানতে আলতাফ হোসেনকে ফোন করলে তিনি ধরেননি।
আলেপের উত্থান : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদবিজ্ঞানে অনার্স-মাস্টার্স শেষে ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারি এএসপি হিসেবে আলেপ পুলিশে যোগ দেন। তিনি ৩১তম বিসিএস ক্যাডার। ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি র্যাব-১১-তে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তাঁকে লালমনিরহাটে বদলি করা হয়। সেখানে অতিরিক্ত এসপি হিসেবে তিন মাসের মতো দায়িত্ব পালনের পর তাঁকে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা ইউনিটে বদলি করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে জুলাই বিপ্লবের দুই মাস আগে এসবিতে বদলি করা হয়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁকে বরিশাল রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জে র্যাবে দায়িত্ব পালনের শুরুর পর কিছুদিন তিনি ভালো কাজ করেন। এর পরই নারায়ণগঞ্জের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ঐক্য গড়ে তোলেন। একসময় নারায়ণগঞ্জের সন্ত্রাসী নূর হোসেনের সাম্রাজ্য থেকেও তাঁর কাছে চাঁদা আসতে শুরু করে।
সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জে র্যাব-১১-এর সিও তারেক সাঈদ অপকর্মের হোতা ছিলেন। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের পর তাঁর মুখোশ উন্মোচিত হয় এবং গ্রেপ্তার হন। কিন্তু আলেপ জুনিয়র অফিসার হয়েও র্যাব-১১-এর সিওর অভাব যেন পূরণ করতে সক্ষম হন। তিনি জড়িয়ে পড়েন গ্রেপ্তার বাণিজ্য, বালু মহালের চাঁদা তোলাসহ সন্ত্রাসীদের সুযোগ সুবিধা দিতে। একসময় সরকারের আস্থাভাজন হয়ে গুম করার জন্যও নিজেকে দক্ষ করে তোলেন।
রিমান্ডে আলেপ : ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জোবায়ের ওমর খান হত্যার ঘটনায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।