• ২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ইউরোপের নিরাপত্তার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল থাকা উচিত নয় : ফ্রান্স

usbnews
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫
ইউরোপের নিরাপত্তার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল থাকা উচিত নয় : ফ্রান্স
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

ইউরোপের আর নিজের নিরাপত্তার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল থাকা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন ফরাসি সরকারের মুখপাত্র সোফি প্রিমাস। খবরটি প্রকাশিত হয়েছে আনাদলু এজেন্সির একটি প্রতিবেদনে।

তিনি বলেন, যদিও আমেরিকানরা তাদের মিত্র, তবুও ফ্রান্সের নিরাপত্তা আমেরিকার ওপর নির্ভর করা উচিত নয়। বুধবার কাউন্সিল অব মিনিস্টার্স বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি উল্লেখ করেন, ইউরোপ এখন উপলব্ধি করতে পারছে, তারা এখন আর অন্য কোনো শক্তির ওপর নির্ভরশীল হতে পারবে না। তিনি সতর্ক করেন, ইউরোপের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বর্তমানে বিপদাপন্ন হয়ে পড়েছে।

এই সময়, সোফি প্রিমাস আবারও ইউক্রেনের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, ইউক্রেনের সাথে তাদের একটি শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি বলেন, ইউরোপ এবং ইউক্রেনের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো স্থায়ী শান্তি সম্ভব হবে না।

এই মাসেই মার্কিন ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। সম্প্রতি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের শান্তি আলোচনা নিয়ে ইউরোপীয়দের কোন অন্তর্ভুক্তি ছাড়াই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সরাসরি আলোচনা শুরু করেছেন।

এর আগে, ট্রাম্পের রাশিয়া ও ইউক্রেন বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কিথ কেলোগ নিশ্চিত করেন, ইউক্রেনের শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে মার্কিন-রাশিয়া আলোচনায় ইউরোপীয় দেশগুলোকে কোনো ধরনের আমন্ত্রণ পাঠানো হবে না।

এছাড়াও, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ পরামর্শ দেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে ইউক্রেনে শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানো উচিত, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাজ নয়।

হেগসেথ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, যদি কোনো বাহিনী পাঠানো হয়, তবে তা ন্যাটো বাহিনী হবে না এবং এটি আর্টিকেল ৫ এর আওতাভুক্ত হবে না। তিনি আরও বলেন, মার্কিন সেনারা কোনো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ব্যবস্থায় অংশ নেবে না।

গত সোমবার প্যারিসে ইউরোপের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশের নেতাদের আমন্ত্রণ জানান ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সেখানে তারা ইউক্রেনের পরিস্থিতি, সম্ভাব্য শান্তি আলোচনা এবং ইউরোপের নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা করেন। ম্যাক্রোঁ ইউক্রেনের সংকট এবং ইউরোপের সমর্থন নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধকে কেন্দ্র করে কূটনৈতিক উদ্যোগ আরও শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা চালান।