রাশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল নিউজ টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ‘আরটি’ এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছে। মূলত ১৯৬৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির হত্যা সংক্রান্ত ফাইলের প্রসঙ্গে দাবি করা হয়েছে, সিআইএ (সেন্ট্রাল ইনটেলিজেন্স এজেন্সি) দিল্লি ও কলকাতায় সিক্রেট বেস বা ঘাঁটি রেখে দিয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য শহরের মতো দিল্লি ও কলকাতায় তাদের গোপন ঘাঁটি রয়েছে বলে দাবির উল্লেখ করে ‘দ্য উইক’ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সিআইএ’র সিক্রেট বেস সাধারণত ব্ল্যাক সাইট বলেও পরিচিত। এখান থেকে মূলত গোপন গোয়েন্দা সংক্রান্ত কাজকর্ম করা হয়। গোয়েন্দা সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান করা হয়। এমনকি সন্দেহভাজনদের জেরাও করা হয় এই সব গোপন ডেরায়। এমনটাই মনে করা হয় বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
রুশ মিডিয়ার এক্স হ্যান্ডেলে বলা হয়েছে, গোটা বিশ্বজুড়ে গোপন ঘাঁটি তৈরি রয়েছে সিআইএ-এর। ইউক্রেনেও তাদের গোপন ডেরা রয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের মধ্যে দিল্লি ও কলকাতায় এই ধরনের সিক্রেট বেস রয়েছে।
সেই পোস্টে বিশ্বের নানা প্রান্তে সিআইএ-র ঘাঁটির তালিকা দেয়া হয়েছে। তালিকায় ভারতের দিল্লি ও কলকাতার পাশাপাশি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে রয়েছে তাদের সিক্রেট বেস। শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে, ইরানের তেহেরানে, সাউথ কোরিয়ার সিওলে, জাপানের টোকিওতেও সিআইএ-রর গোপন ডেরা রয়েছে। সিআইএ-র নিউইয়র্ক ডিভিশন থেকে এগুলো পরিচালনা করা হয়।
মঙ্গলবার মার্কিন জাতীয় আর্কাইভস এবং রেকর্ডস প্রশাসন তাদের ওয়েবসাইটে প্রায় ২,২০০টি ফাইল পোস্ট করেছে। ন্যাশনাল আর্কাইভসের সংগ্রহে থাকা ষাট লাখের বেশি পৃষ্ঠার রেকর্ড, ছবি, মোশন পিকচার, সাউন্ড রেকর্ডিং এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত নথিগুলো একটি বিশাল অংশ ইতিমধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে।