আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ মঞ্চ’ নামে একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই প্ল্যাটফর্ম ঘোষণা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে এই প্ল্যাটফর্ম আন্দোলন চালিয়ে যাবে। যতদিন পর্যন্ত এই সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে না ততদিন পর্যন্ত এই প্ল্যাটফর্ম আন্দোলন চালিয়ে যাব।
আগামীকাল শনিবার (২২ মার্চ) বিকাল ৫টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও গণহত্যার দাবিতে এই মঞ্চের উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেওয়া হয়। কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
ঢাবি শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের বলেন, সাত-আট মাস হয়ে গেল অথচ আজকে এই সময়ে এসেও আমাদের আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাস্তায় নামতে হলো। এই সরকারের উচিত ছিল গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। তারা এত বড় গণহত্যা চালালো অথচ তাদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। এই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা ছাড়াই সরকারের আর কোনো সুযোগ নেই। আমরা জুলাইয়ের জনতা আপনার (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আছি। আপনি প্রয়োজনে গণভোটের আয়োজন করুন, এই দেশের মানুষ রায় দিবে। এই দেশে আর আওয়ামী লীগের রাজনীতি চলবে না।
‘বছর না ঘুরতেই আ.লীগকে ফেরানোর খায়েশ বিপজ্জনক’ : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব
বছর না ঘুরতেই আওয়ামী লীগকে ফেরানোর খায়েশ বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
ফেসবুকে নিজের পুরনো আইডিতে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আসিফ লেখেন, ‘আমরা কবে থেকে জার্মানি, ইতালির থেকে বেশি ইনক্লুসিভ ডেমোক্রেটিক হয়ে গেলাম?’
তিনি বলেন, ‘গণহত্যার বছর না ঘুরতেই আওয়ামী লীগকে ফেরানোর খায়েশ বিপজ্জনক।’
শুক্রবার (২১ মার্চ) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অফিশিয়াল পেজে অন্য এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘নির্বাচন পিছিয়ে যাবে, অনিশ্চয়তা তৈরি হবে এসব শঙ্কার কথা বলে কেউ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে জনতার ঐক্যে ফাটল ধরাতে আসবেন না।’
‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস স্পষ্টভাবে বারবার বলছেন ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইলেকশন হবে। আমি নিশ্চয়তা দিতে চাই সরকার এই কথা রাখবে। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই।’
গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম এই সাবেক সমন্বয়ক বলেন, ‘গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ শুধু জাতীয়ভাবে নয়, আন্তর্জাতিকভাবে ইউএন রিপোর্টের মাধ্যমে স্বীকৃত। জনতার ঐক্য জিন্দাবাদ।’
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে শুরু করে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বাহাদুর শাহ পার্ক ঘুরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে মিছিলটি শেষ হয়। মিছিলে শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী ও খুনি আক্ষ্যা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে চিরতরে নিষিদ্ধের দাবি জানান।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি, বন্ধ করো করতে হবে’, ‘ছাত্রলীগ বাংলাদেশ, একসাথে চলে না’, ‘এ্যাকশন টু এ্যাকশন, ডাইরেক্ট এ্যাকশন’, ‘গড়িমশি বন্ধ করো, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করো’, ‘চব্বিশের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’,- ইত্যাদি নানা স্লোগান দেন।
দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ যে গণহত্যা চালিয়েছে; তার রেশ এখনও কাটেনি। আহতরা এখনও হাসপাতালে। এই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের পূনর্বাসন করা হলে শহিদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে।
প্রয়োজনে আবারও জুলাই বিপ্লব হবে, তবুও আ. লীগের পুনর্বাসন মানবো না
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা গণহত্যাকারী সংগঠন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে একটি মানববন্ধন করেছে। আজ শুক্রবার দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা বলেন, “জুলাই বিপ্লব আবার ঘটবে, কিন্তু আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন মেনে নেওয়া হবে না।”
মানববন্ধন চলাকালীন ক্যাম্পাস বিভিন্ন স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে – “কোন আপস নয়, কোন সংগ্রাম নয়, কোন সংগ্রাম নয়”, “কোন সেনানিবাস নয়, কোন মহাসড়ক নয়, কোন মহাসড়ক নয়”, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে”।
‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে, নয়তো…’
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেছেন, ‘যদি, কেন, কিন্তু ছাড়াই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশে আবারো জুলাই নেমে আসবে!’
বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি। আবু বাকের মজুমদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেরও অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।
এদিকে রাতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রাত দেড়টার দিকে তারা এই মিছিল বের করেন এবং হল পাড়া থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘ধরি ধরি না, ধরলে কিন্তু ছাড়ি না’, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করো, করতে হবে’, ‘আওয়ামীলীগের চামড়া তুলে নিবো আমরা’, ‘আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ চাই, গড়িমসি চলবে না ‘ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, যেই আওয়ামীলীগ দুই হাজারের মতো মানুষকে হত্যা করেছে, তিরিশ হাজারের বেশি আহত করেছে সেই আওয়ামীলীগের আর রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। অবিলম্বে এই দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে, কোন ধরনের গড়িমসি করা চলবে না।
এদিন মধ্যরাতে আওয়ামী লীগের ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা চলছে অভিযোগ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের ফিরে আসায় সমঝোতা করতে ছাত্র নেতাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসুক আমরা চাই না : ডিপ্লোম্যাটকে নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমরা চাই না আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। প্রথমত, এ দলের ভেতরে যারা অন্যায়ের জন্য দায়ী তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। গত সোমবার দ্য ডিপ্লোম্যাটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। সেইসঙ্গে বলেন, আমাদের দল এনসিপির লক্ষ্য হলো রাজনীতিতে তরুণ ও সব সামাজিক শ্রেণির ব্যক্তিদের জন্য জায়গা তৈরি করা। সাক্ষাৎকারে নাহিদ ইসলাম নতুন দলের চ্যালেঞ্জ, নির্বাচন এবং আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেন।
আন্দোলন থেকে সরকারে, তারপর আবার রাজনীতিতে—এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে ডিপ্লোম্যাটকে নাহিদ ইসলাম বলেন, একটি সরকারকে বাইরে থেকে দেখা আর ভেতর থেকে দেখা সম্পূর্ণ আলাদা অভিজ্ঞতা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন দায়িত্ব নেয়, তখন বাংলাদেশের জন্য এটি অত্যন্ত সংকটপূর্ণ সময় ছিল। এটি আমার জন্যও চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমি সময়ের দাবিতেই পদত্যাগ করে মূলধারার রাজনীতিতে ফিরেছি। এখন আমি এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পথচলা গঠন করতে চাই। নতুন রাজনৈতিক দল চালানো অবশ্যই কঠিন, তবে আমি প্রস্তুত। নিজের দল এনসিপি সম্পর্কে নাহিদ বলেন, এনসিপি একটি মধ্যপন্থি রাজনৈতিক দল এবং আমরা এই আদর্শ বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমাদের লক্ষ্য হলো নতুন কণ্ঠস্বর, বিশেষ করে তরুণ এবং সব সামাজিক শ্রেণির ব্যক্তিদের জন্য জায়গা তৈরি করা, যারা বছরের পর বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী রাজনীতি থেকে বাদ পড়েছে। ‘অনেকেই এনসিপিকে কিংস পার্টি বলছে এবং এ পার্টি সরকার থেকে বিশেষ সুবিধা নিচ্ছে। এটা কি সত্য?’ দ্য ডিপ্লোম্যাটের এমন প্রশ্নে নাহিদ ইসলাম বলেন, এনসিপি যদি কিংস পার্টিই হয়ে থাকে, তাহলে আমি সরকার থেকে পদত্যাগ করতে যাব কেন। কিংস পার্টি হলে আমি সরকারে থাকতাম, আমার অবস্থানের সুবিধা নিতাম এবং সরকারে থেকেই রাজনীতি করতাম।
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, এনসিপি এবং জামায়াতে ইসলামী সম্পূর্ণ ভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং আমাদের এজেন্ডাও সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমাদের মধ্যে কোনো সংযোগ নেই। কিছু দাবিতে মিল থাকতে পারে, যেমন আমরা সাংবিধানিক সংস্কার ও গণপরিষদ গঠনের পক্ষে; কিন্তু আমাদের আদর্শিক অবস্থান ভিন্ন এবং উগ্রবাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। নির্বাচন প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন এনসিপি প্রধান নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো আগের শাসনামলের অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা। দেশে একটি স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করা এবং একটি গণপরিষদ গঠন করা। তাই নির্বাচন এনসিপির তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার নয়।
বর্তমানে আমরা নির্বাচনের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করছি না। রাজনৈতিক দল হিসেবে এনসিপির চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমত বাংলাদেশে অনেক সুপ্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতাটাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে সীমিত সময়ের মধ্যে এটা একটা চ্যালেঞ্জ, যেখানে নির্বাচনের সঠিক তারিখ এখনো অনিশ্চিত।
আ.লীগ নিষিদ্ধের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জুলাই আন্দোলনের সংগঠক আলী আহসান জুনায়েদ।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জুলাই আন্দোলনের সংগঠক আলী আহসান জুনায়েদ।
শুক্রবার (২১ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমি বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ সব রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই। ছাত্র-জনতা আবারও প্রস্তুত আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের অপচেষ্টা রুখে দিতে।
তিনি আরও লেখেন, একটা বিষয় স্পষ্ট—জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের সব শক্তি যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, তবে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে কোনো বাধা থাকবে না। কিন্তু কেউ যদি শুরুতেই বিভক্তি সৃষ্টি করে, তবে তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।
জুনায়েদ বলেন, শহীদদের রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি। এই রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করার যে কোনো প্রচেষ্টা আমরা ব্যর্থ করে দেব। আসুন, আবারও ঐক্যবদ্ধ হই—যেমন আমরা জুলাইয়ে হয়েছিলাম।
আলী আহসান জুনায়েদ আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের সব রাজনৈতিক দলকে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে। গণহত্যাকারীদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না।