সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে খেলাফত মজলিসের সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের দ্বিতীয় দিন আজ শনিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
খেলাফত মজলিস দাবি করেছে যে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন যেন বিচারের আগে আওয়ামী লীগকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুমতি না দেয়।
সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ছাড়াও সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সূত্র মতে, দলের মহাসচিব ড. আহমেদ আব্দুল কাদের বলেছেন যে স্প্রেডশিটে থাকা ১৬৬টি প্রশ্নপত্রের মধ্যে ১৪০টিতে কমিশন একমত হয়েছে। ১০টিতে দ্বিমত পোষণ করেছে এবং ১৫টিতে আংশিকভাবে দ্বিমত পোষণ করেছে এবং একটিতে আলোচনার প্রয়োজন।
দলের মহাসচিব আরও মন্তব্য করেছেন যে নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যা ১০ মাসের মধ্যে করা যেতে পারে।

এ সময় খেলাফত মাসলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আব্দুল কাদের বলেন, “এই বৈঠকে মতবিরোধের বিষয়গুলিতে ঐকমত্য আসবে। একটি নতুন রাজনৈতিক সমঝোতার পথ প্রশস্ত হবে। আমি আশা করি এটি জাতিকে এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করবে।”
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ন মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, যুগ্ন মহাসচিব অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, যুগ্ন মহাসচিব এ বি এম সিরাজুল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম এবং দলটির প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু।
সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।