কী অদ্ভুত সেই সময় পার করে ফেলেছি আমরা।
খুনী পালানোর সন্ধ্যায়।
শঙ্কা, অবিশ্বাস, দ্বিধা, ভয়, জড়তা সবকিছু একসাথে নিয়ে পল পল করে কেটে যাওয়া সেই সময়।
কথা ছিল ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন ও ব্যবস্থার বিলোপ ঘটবে। একটা ন্যায্য ব্যবস্থা গড়ে তুলবো ফ্যাসিবাদ বিরোধী সবাই মিলে।
ন্যায় বিচার নিশ্চিত হবে। বিচার ব্যবস্থায় আস্থা ফিরবে। জুলুমতন্ত্রের কবর হবে। বৈষম্য দূর হবে।
মেরিটোক্রেসি আসবে। যোগ্যতা, কমিটমেন্ট, সততা হবে ক্রাইটেরিয়া।
রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিতে কাজ করবো জান-প্রাণ দিয়ে। রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ গর্বের সাথে সিনা টান দিয়ে আলিফের মতো দাঁড়াবে। সমৃদ্ধির পথে হাটবে।
বাম-ডান, মধ্য সবাই মিলেই একটা সহাবস্থানের পরিবেশ কায়েম হবে। কেউ কারোর উপরে নিজের মত, আদর্শ, বয়ান চাপায়ে দিবে না। জোর করবে না। বরং প্রিচ করবে।
লড়াই হবে মেধার। বুদ্ধির। শিল্পের। সাহিত্যের। যোগ্যতার। নৈতিকতার।
এক হয়ে লড়বো সবাই। ঘৃণা বা বিদ্বেষ নয়; থাকবে প্রতিযোগিতা। ভালোর প্রতিযোগিতা। কল্যাণের দিকে যাত্রা।
বাংলাদেশ হবে পন্থা। বাংলাদেশী হবে আত্মপরিচয়। ধর্মের, নিপীড়িত বর্গের, রুদ্ধ হয়ে থাকা সংস্কৃতির স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে। বিকাশের পথ তৈরী হবে।
আমাদের কাজ তো প্রায় সবই বাকি… Sigh!
(৫ ই আগস্ট, ২০২৪, সন্ধ্যা, চ্যানেল ২৪ অফিস)