• ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৫ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

মাত্র পাঁচ সেকেন্ডের বার্তা ছিল। তারপরই অহমদাবাদে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার

Usbnews.
প্রকাশিত জুন ১৪, ২০২৫
মাত্র পাঁচ সেকেন্ডের বার্তা ছিল। তারপরই অহমদাবাদে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

‘মে ডে…মে ডে…মে ডে…’। ‘নো পাওয়ার…নো থ্রাস্ট…গোয়িং ডাউন…’। দুর্ঘটনার আগে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-কে বার্তা পাঠিয়েছিলেন পাইলট সুমিত সবরওয়াল। মাত্র পাঁচ সেকেন্ডের বার্তা ছিল। তারপরই অহমদাবাদে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার।

ভারতের আহমেদাবাদ থেকে বৃহস্পতিবার লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ভেঙে পড়ে। বিমানে ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্য ছিলেন। বেলা ১টা ৩৮ মিনিটের দিকে বিমানটি উড্ডয়নের পর তা ওপরের দিকে উঠতে ব্যর্থ হয় এবং দ্রুত নিচে নেমে আসে। এরপরই এটি বিস্ফোরিত হয়ে ভয়াবহ আগুনে পরিণত হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় অন্তত ২৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গুজরাটের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা বিধি চৌধুরী রয়টার্সকে বলেন, ‘দুর্ঘটনায় অন্তত ২৯৪ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কিছু শিক্ষার্থী রয়েছেন, যারা মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে ছিলেন।’

‘মে ডে কল’ আসলে কী

‘মে ডে’ হলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি বিপদসংকেত, যা বিমান বা কোনো নৌযান মারাত্মক বিপদের মুখোমুখি হলে ব্যবহার করা হয়। এটি এসেছে একটি ফরাসি শব্দ (এম’এইডার) থেকে, যার অর্থ ‘আমাকে সাহায্য করুন’। ১৯২০-এর দশকে প্রথম চালু হওয়া এই সংকেত এখন বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত একটি প্রোটোকল। সংকেতটি তিনবার বলা হয়- মে ডে মে ডে মে ডে। এমনটি করা হয় যেন অন্য সব রেডিওবার্তার ভিড়ে এটি স্পষ্টভাবে বোঝা যায়।

‘মে ডে কল’ কে পাঠায়

সাধারণত কোনো যানের নিয়ন্ত্রক, অর্থাৎ বিমানের ক্ষেত্রে পাইলট অথবা জাহাজের ক্ষেত্রে ক্যাপ্টেন মারাত্মক বিপদের মুখোমুখি হলে সংকেতটি পাঠান। যেমন- ইঞ্জিন বিকল হওয়া, বিমানে আগুন লাগা, নিয়ন্ত্রণ হারানো কিংবা যেকোনো জীবন সংকটময় পরিস্থিতিতে ‘মে ডে কল’ পাঠানো হয়।

একবার ‘মে ডে’ ঘোষণা করা হলে সংশ্লিষ্ট রেডিও ফ্রিকোয়েন্সিতে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বিপদের বার্তাটি অগ্রাধিকার পায়। পাইলট বা ক্যাপ্টেন তখন তাদের অবস্থান, বিপদের ধরন ও প্রয়োজনীয় তথ্য জানান। এরপর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বা জরুরি সেবা সংস্থাগুলো উদ্ধার ও সহায়তা প্রক্রিয়া শুরু করে।