• ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৫ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

পাশ হল ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল, মার্কিন রাজনীতিতে ট্রাম্পের ‘কর্তৃত্ব’ স্পষ্ট

Usbnews.
প্রকাশিত জুলাই ৪, ২০২৫
পাশ হল ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল, মার্কিন রাজনীতিতে ট্রাম্পের ‘কর্তৃত্ব’  স্পষ্ট
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে মার্কিন কংগ্রেসে পাশ হয়ে গেল ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল। বৃহস্পতিবার মাত্র চার ভোটের ব্যবধানে বিল পাশ হয়েছে। গোটা বিষয়টিকে বিরাট রাজনৈতিক জয় হিসাবেই দেখছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। উল্লেখ্য, এই বিল ঘিরেই এলন মাস্কের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’টি কংগ্রেসে পাশ করাতে সমস্যায় পড়তে হবে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে, এমনটাই মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল। রিপাবলিকান সদস্যরাও ট্রাম্পের বিলের বিরোধিতা করতে পারেন বলে অনুমান করা হয়েছিল। কারণ এই বিল কার্যকর হল আমেরিকার ঋণের অঙ্ক বাড়বে, জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলি ধাক্কা খাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পের হয়ে আসরে নামেন মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার মাইক জনসন। ‘বিরোধী’ রিপাবলিকানদের বুঝিয়ে বিলের পক্ষে ভোট দিতে রাজি করান তিনি।

শেষ পর্যন্ত ২১৮-২১৪ ভোটে মার্কিন কংগ্রেসে পাশ হয়ে গিয়েছে ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’। স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবার বিলে সই করবেন ট্রাম্প। তারপরেই বিলটি আইনে পরিণত হবে। বড়সড় জয় পেয়ে সোশাল মিডিয়ায় ট্রাম্প লেখেন, ‘ এই প্রথমবার এমন বিরাট মাপের বিল পাশ হল। নতুন আইনের ফলে রকেট শিপের মতো উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে আমেরিকা।’ বিল পাশ হয়ে যাওয়ার পর সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও।

উল্লেখ্য, ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’টির উদ্দেশ্য কর ও সরকারের ব্যয় সংকোচ। গত সোমবার মার্কিন সেনেটে আলোচনা হয় এই বিল। তারপরেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন এক সময়ের ‘বন্ধু’ মাস্ক। সরকারি ব্যয় সংকোচের যে বিল নিয়ে এত সংঘাত, ক্ষমতায় এসেই সেই দপ্তরের প্রধান করা হয়েছিল এলন মাস্ককে। যদিও সংঘাতের জেরে সেই দপ্তর থেকে বহু আগেই ইস্তফা দিয়েছেন টেসলা কর্তা।