নিউ ইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হয়ে যদি তিনি সেখানে ‘ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের’ (আইসিই) কাজ বন্ধ করেন তাহলে ডেমোক্র্যাট নেতাকে গ্রেপ্তার করবে তাঁর প্রশাসন। মঙ্গলবার এই ভাষাতেই জোহরান মামদানিকে হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প। একদিন পর এবার তার পালটা দিলেন জোহরান। বলেন, “আমি ভয় পাওয়ার পাত্র নই।” উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই জোহরান নিউইয়র্কের নির্বাচন বোর্ড ডেমোক্র্যাট প্রাইমারিতে জয়ী হয়েছেন। তৃতীয়ে রাউন্ডের শেষে জোহরানের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৫৬ শতাংশ। যেখানে জয়লাভের জন্য দরকার ছিল ৫০ শতাংশের বেশি ভোট। এর মাধ্যমেই জোহরান নিউইয়র্কের মেয়র হওয়ার লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছেন। তার পরই তাঁকে হুঁশিয়ারি দেন ট্রাম্প।
মঙ্গলবার একটি বিবৃতি জোহরান বলেন, “নিউইয়র্ক শহরে আমি ‘আইসিই’-র আতঙ্ক ছড়াতে দেব না। এই জন্যই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আমাকে গ্রেপ্তারির হুমকি দিয়েছেন। এমনকী আমার নাগরিকত্ব বাতিল করে আমাকে ডিটেনশান শিবিরে রাখারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য দেশের গণতন্ত্রের উপর আঘাত হেনেছে। তবে ট্রাম্পের এই হুমকিতে আমি ভয় পাই না।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “রিপাবলিকানরা প্রতিনিয়ত সামাজিক নিরাপত্তা ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন। লক্ষ লক্ষ নিউ ইয়র্কবাসীকে স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করছেন। তাঁদের রাজত্বে শুধু দেশের ধনকুবেররাই শুধু সমৃদ্ধ হচ্ছেন।”
প্রসঙ্গত, বছর তেত্রিশের জোহরানের জন্ম উগান্ডায়। তবে তাঁর বাবা মাহমুদ মামদানি গুজরাটের বাসিন্দা। অন্যদিকে জোহরানের মা হলেন স্বনামধন্য পরিচালক মীরা নায়ার। জন্মের কিছু বছর পর জেহরান নিউ ইয়র্কে চলে আসেন। বর্তমানে তিনি নিউ ইয়র্কের কুইন্সের বাসিন্দা। এই কুইন্স শহরে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশির বাস। সেখানে থাকতে থাকতেই বাংলা ভাষা রপ্ত করেছেন জেহরান। সমাজমাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারে তাঁকে বাংলা ভাষাতেও কথা বলতে দেখা গিয়েছে। সস্তায় খাদ্য,বস্ত্র এবং বাসস্থান মূলত নিউ ইয়র্কের বাসিন্দাদের জন্য এই তিন প্রতিশ্রুতিই দিয়েছেন জেহরান।