আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরানো নিয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে আমরা হয়তো আনসিভিলাইজড (সভ্য নয়) হিসেবে পরিচিত হব।
‘বাবার জানাজায় ডান্ডাবেড়ি পায়ে ছাত্রদলের নেতা’ শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনা হলে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ মন্তব্য করেন।
রোববার ওই প্রতিবেদন একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন নজরে এনে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনার আরজি জানান আইনজীবী কায়সার কামাল। আদালত বলেন, ‘আমরা দেখেছি।’ তখন কায়সার কামাল বলেন, একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। রাষ্ট্র দিন দিন নাগরিকদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করছে। একপর্যায়ে আদালত বলেন, চাইলে আগের রিটে (যশোরে ডান্ডাবেড়ি পরানো নিয়ে) সম্পূরক আবেদন দিতে পারেন। চাইলে নতুন করে আবেদন নিয়েও আসতে পারেন। আদালতে কায়সার কামালের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় অংশ নিয়েছেন ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধা। সময় সংক্ষিপ্ত হওয়ার কারণে নির্ধারিত জানাজার আগেই আয়োজন করা হয় বিশেষ জানাজার। গত শনিবার বেলা ৩টার দিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে ওই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার সময় নাজমুলের হাতকড়া খুলে দেওয়া হলেও খোলা হয়নি পায়ের ডান্ডাবেড়ি। মো. নাজমুল মৃধা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। জানাজা শেষে তাকে আবার পটুয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, পটুয়াখালীর ওই ঘটনা নিয়ে চলতি সপ্তাহে নতুন করে রিট আবেদন করা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে যশোরের যুবদল নেতা মো. আমিনুর রহমানকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তার স্ত্রী নাহিদ সুলতানা। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। এই রুল চূড়ান্ত শুনানির অপেক্ষায়।