• ১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের শর্ত প্রত্যাখ্যান করলেন নেতানিয়াহু

usbnews
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪
যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের শর্ত প্রত্যাখ্যান করলেন নেতানিয়াহু
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের দেওয়া শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ সময় আগামী কয়েক মাসের মধ্যে গাজায় সম্পূর্ণ বিজয় সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এর আগে গত সপ্তাহে গাজায় ছয় সপ্তাহের একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করে ইসরাইল। তবে হামাস প্রাথমিকভাবে সে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়নি। বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়ে নতুনভাবে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করে গাজার এই শাসক গোষ্ঠী। প্রস্তাবের চুক্তি অনুয়ায়ী এই সময়ের মধ্যে সব কারাবন্দি মুক্ত করার প্রস্তাব করে ফিলিস্তিনের এই স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি। এ ছাড়া পুরো গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহার করা ও যুদ্ধ শেষ করার প্রস্তাবও করেন তারা। তবে নেতানিয়াহু হামাসের এই প্রস্তাবকে নাকচ করে দিয়েছেন।

অন্যদিকে নেতানিয়াহুর বক্ত্যব্যের কড়া সমালোচনা করেছে হামাস। হামাসের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি বলেছেন, নেতানিয়াহুর এ বক্তব্য ‘রাজনৈতিক স্পর্ধার’ একটি রূপ। নেতানিয়াহু গাজায় সংঘাত চালিয়ে যেতে চান বলেও অভিযোগ এ নেতার।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর, ইসরাইলের গোয়েন্দাপ্রধান এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বসেন। সেখানে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করেন তারা। ওই আলোচনায় গাজায় ইসরাইলের হামলা বন্ধ এবং জিম্মিদের মুক্তির একটি কাঠামো তৈরি করেন তারা। এরপর সেটি পাঠানো হয় হামাসের কাছে।

সেই কাঠামো পর্যালোচনা করে মঙ্গলবার একটি পালটা প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। যদিও এই প্রস্তাবটি গোপন রাখার কথা ছিল। কিন্তু এটি ফাঁস হয়ে গেছে।

বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স সেই প্রস্তাবটি প্রকাশ করেছে। এতে হামাস তিন ধাপের বিরতির কথা বলেছে। তিনটি ধাপ শেষ হওয়ার পর স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে তারা।

আর এই তিনটি ধাপের প্রত্যেকটির মেয়াদ হবে ৪৫ দিন। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ১৩৫ দিনের যুদ্ধবিরতি হবে। এরপর আলোচনার মাধ্যমে এটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রূপ নেবে। আর এই সময়ের মধ্যে সব জীবিত ও মৃত সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস, গাজার পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে, সব ইসরাইলি সেনাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে এবং মরদেহ আদান-প্রদান করা হবে।

হামাসের প্রস্তাবে বলা আছে-প্রথম ধাপে তারা সব নারী, বৃদ্ধ, অসুস্থ এবং ১৯ বছরের নিচের সব পুরুষকে মুক্তি দেবে।

দ্বিতীয় ধাপে সব পুরুষ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং তৃতীয় ধাপে মৃতদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে। তৃতীয় ধাপ শেষে স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধে দুই পক্ষ সম্মত হবে।

হামাস দাবি করেছে, এই যুদ্ধবিরতি চলাকালীন ইসরাইলকে ১ হাজার ৫০০ বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। যার এক-তৃতীয়াংশ হবে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি।

এছাড়া গাজা উপত্যকায় ত্রাণের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। হামাস দাবি করেছে, প্রতিদিন গাজায় অন্তত ৫০০ ট্রাক ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।