• ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ইমরানসহ কারাবন্দি সব নেতাকর্মীর মুক্তি চায় পিটিআই

usbnews
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪
ইমরানসহ কারাবন্দি সব নেতাকর্মীর মুক্তি চায় পিটিআই
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

সৌদিভিত্তিক দৈনিক আরব নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গহর খান  বলেছেন, দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ সুষ্টু রাখতে হলে অবশ্যই বিজয়ী ‘পিটিআই-স্বতন্ত্র’ প্রার্থীদের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পরিবর্তে দলীয় প্রার্থীর সম্মান দিতে হবে।

সাক্ষাৎকারে ব্যারিস্টার গহর খান বলেন, ‘আমি সেনাপ্রধানের বক্তব্যের সূত্র ধরেই বলছি, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের কারাগারে বন্দি রেখে স্থিতিশীলতা আনা সম্ভব নয়। জাতি এখন স্থিতিশীল রাজনীতির আরোগ্য স্পর্শ চায় এবং তার স্বার্থেই পিটিআই আমাদের শীর্ষ নেতা ইমরান খান ও কারাবন্দি পিটিআই নেতা-কর্মীদের মুক্তি চাইছি।’

অর্থনৈতিক সংকট ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় জর্জরিত পাকিস্তানে গত ৮ নভেম্বর পার্লামেন্ট ও প্রাদেশিক আইনসভাগুলোর নির্বাচন হয়েছে। তবে তাতে কেটে যাওয়ার পরিবর্তে আরও ঘনীভূত হয়েছে সংকট।

কারণ পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির মোট আসনসংখ্যা ২৬৬টি। কোনো দল এককভাবে সরকার গঠন করতে চাইলে সেই দলকে অন্তত ১৩৪টি আসনে জয়ী হতে হবে।

ইমরানসহ কারাবন্দি সব নেতাকর্মীর মুক্তি চায় পিটিআই

শনিবার একটি বিবৃতি দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। বিবৃতিতে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে সমঝোতায় আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জাতি এক নৈরাজ্যময় মেরুকরণের রাজনীতিতে বন্দি হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে এখন প্রয়োজন স্থিতিশীল রাজনীতির আরোগ্য স্পর্শ।’

পরের দিন রোববার আরব নিউজকে সাক্ষাৎকার দেন পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর খান। সাক্ষাৎকারে জোট সরকার ইস্যুতে পিটিআইয়ের অবস্থান প্রসঙ্গেও প্রশ্ন করা হয় তাকে।

তবে এ ইস্যুতে সরাসরি কোনো জবাব না দিয়ে গহর খান বলেন, ‘জোট সরকার গঠনের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি দলকে অবশ্যই একটি ব্যাপারে একমত হতে হয়; আর সেটি হলো— জনগণ যাদেরকে ভোট দিয়েছে, তাদেরকে যথাযথ সম্মান জানানো।’

কিন্তু নির্বাচনের যে ফলাফল এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি—১০১টি আসনে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। বিজয়ী এই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে পিটিআই-স্বতন্ত্ররা জিতেছেন ৯৬টি আসনে। এছাড়া ৭৫টি আসনে জিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন), ৫৪ আসনে জিতে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। এছাড়া করাচিভিত্তিক মুত্তাহিদা কওমী মুভমেন্ট জয়ী হয়েছে ১৭টি আসনে।

অর্থাৎ কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠন করার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। এখন একমাত্র সমাধান জোট সরকার গঠন, কিন্তু সেখানেও নানা ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারছে না দলগুলো।