রোববার সোমালিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় সংযুক্ত আবর আমিরাতের তিন সেনাসদস্য ও বাহরাইনের এক সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। হামলার দায় স্বীকার করেছে আল-শাবাব। সোমালিয়া সরকারকে সহযোগিতা করার জেরে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ‘শত্রু’ বিবেচনা করে এ হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেছে তারা।
সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে একটি সামরিক ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ চলাকালে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের ওই সেনাসদস্যরা সোমালিয়া সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণের কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে ইএসি’র অষ্টম সদস্য দেশ হিসেবে সংস্থায় যোগ দেয় সোমালিয়া। ইএসি’র অন্য সদস্যরা হল কেনিয়া, বুরুন্ডি, রুয়ান্ডা, দক্ষিণ সুদান, তানজানিয়া, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো ও উগান্ডা। তানজানিয়ার আরুশায় সদস্য রাষ্ট্রের প্রধানদের বৈঠকের পর সোমালিয়াকে সদস্য করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সোমালিয়া ১৯৯১ সাল থেকে সংঘাতে জর্জরিত এবং দেশের অনেক অংশ সশস্ত্রগোষ্ঠী আল-শাবাব গোষ্ঠী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। কয়েকটি প্রতিবেশী দেশ সোমালিয়াকে আল-কায়েদার সাথে জড়িত গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করার জন্য সৈন্য পাঠিয়েছে।
ইএসি-তে সোমালিয়ার একীভূত হওয়া হর্ন অফ আফ্রিকা জাতিগুলোর জন্য একটি বিশাল পদক্ষেপ, কিন্তু এটি সহজে আসেনি। আঞ্চলিক ব্লকে যোগদানের জন্য তাদেরকে কয়েক মাস ধরে লবিং করতে এবং কিছু সদস্য রাষ্ট্রের গুরুতর প্রশ্ন ও দ্বিধার মুখোমুখি হতে হয়েছিল।