স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, গভীর রাতে কম বয়সি গৃহবধূদের তুলে নিয়ে যেত ওরা। এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। তারপর থেকেই লাপাত্তা দুই তৃণমূল নেতা।
এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সন্দেশখালিতে। হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য উত্তম হাজরা ও ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শিবপ্রসাদ হাজরার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় এক নারী।
এদিকে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকে দুই তৃণমূল নেতা গা ঢাকা দিয়েছেন। শুক্রবার সন্দেশখালি ছাড়িয়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে লাগোয়া জেলিয়াখালিতে। সংবাদমাধ্যমের সামনে বিস্ফোরক সব অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারী নারীরা।
বাঁশের লাঠি, ঝাঁটা নিয়ে সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান তারা। বিক্ষোভকারী উত্তম হাজরা ও ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শিবপ্রসাদ হাজরার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গ্রামে এসে প্রথমে কম বয়সী সুশ্রী গৃহবধূদের চিহ্নিত করে রেখে যেত শাহজাহানের লোকজন। তার পর গভীর রাতে সেই বধূর বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যেত তারা। প্রতিবাদ করলে বধূর স্বামীকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিতো। এরপর যত দিন খুশি বধূকে আটকে রাখতো তৃণমূলের ওই দুষ্কৃতকারীরা।
আরেক গৃহবধূ বলেন, রাত ১২টা-১টায় মিটিংয়ের নাম করে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। অত রাতে কীসের মিটিং? পুলিশকে সব জানানো হয়েছে। পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমাদের ওপর দিনের পর দিন যে অত্যাচার হয়েছে সেজন্য শিবু হাজরার ফাঁসি চাই।
তৃণমূল নেতাদের লাগাতার নির্যাতনের প্রতিবাদে গত বুধবার থেকে জ্বলছে সন্দেশখালি। উত্তম হাজরা ও ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শিবপ্রসাদ হাজরার যাওয়ার পর তার দুই অনুগামী উত্তম সরদার ও শিবু হাজরার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন নারীরা। তিন তৃণমূল নেতার গ্রেফতারের দাবিতে লাঠি-ঝাঁটা নিয়ে সন্দেশখালি থানার সামনে অবস্থান নেন তারা।