• ২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের শেষ দিনে ইই-উর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা

usbnews
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের শেষ দিনে ইই-উর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের শেষ দিনে ইউরোপের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলাসহ, আলেক্সি নাভালনির মৃত্যুর ঘটনা ছিল বিশ্বনেতাদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ন্যাটোর সঙ্গে ইই-উর সম্পর্ক এবং এই অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিও আলোচনায় স্থান পায়। পাশাপাশি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্প্রসারণ এবং ইসরাইল-ফিলিস্তিন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।লিকান সিনেটর জেডি ভ্যান্স, ন্যাটো এবং ইউক্রেন সম্পর্কে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির কথা জানিয়েছেন সম্মেলনের শেষদিনে। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার বিষয়ে সতর্ক অবস্থান প্রকাশ করেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর রিপাবলিকান সেনেটর ভ্যান্স বলেন, ‘আমরা আমাদের ন্যাটো মিত্রদের ভালবাসি। আমরা ন্যাটো জোটকে মূল্য দিই।’

ভ্যান্স বলেন, ট্রাম্প এবং রক্ষণশীল রিপাবলিকানরা চায়, প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে ইউরোপ ‘একটু বেশি স্বয়ংসম্পূর্ণ’ হোক। তার মত, ইউরোপ যদি বিশ্বাস করে যে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘ তাদের জন্য অস্তিত্বের হুমকি’ তাহলে জার্মানির মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের মূল চালিকাশক্তিদের ‘পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।”

ইউক্রেনের জন্য ৬০ বিলিয়ন ডলারের (৫৫.৬ বিলিয়ন ইউরো) সহায়তা প্যাকেজটি ইউএস রিপাবলিকান-সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধি পরিষদে আটকে আছে। প্যানেলে আলোচনার সময় ভ্যান্স বলেন, এই সহায়তা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির ‘বাস্তবতায় মৌলিক কোনো পরিবর্তন ঘটাবে না’। ভ্যান্স বলেন, ‘‘আলোচনার মাধ্যমে শান্তি ফেরানো অনেক বেশি যুক্তিসঙ্গত।”

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের অনেকে ভ্যান্সের দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করেছেন। তাদের মত, এখন শান্তি আলোচনা চাইলে রাশিয়া যে, আগ্রাসন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু করেছিল, সেটা বরং আরো জোরদার হবে। ল্যাং বলেন, ‘‘পুতিনের জয় মানে কিন্তু চীনের মতো অন্যান্য বাহিনীও ভাববে সীমান্ত পরিবর্তন করা সম্ভব। ন্যাটো এটা ধরে রাখতে পারবে না। এটা শুধুমাত্র ইইউ নয়, যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও নেতিবাচক পরিণতি বয়ে আনবে।”

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূ-রাজনৈতিক লক্ষ্যগুলির পাশাপাশি ইসরাইল-ফিলিস্তিনি সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের শেষ দিনে আলোচনা হয়েছে। ইইউ বৃদ্ধির সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেছেন জর্জিয়ান প্রেসিডেন্ট সালোমে জওরাবিচভিলি, লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাব্রিলিয়াস লান্ডসবার্গিস, ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওলহা স্টেফানিশিনা এবং পোলিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাডোস্লাও সিকোর্স্কি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক জোসেপ বোরেল এবং লাটভিয়ান প্রধানমন্ত্রী ইভিকা সিলিনা ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরবর্তী ভূ-রাজনৈতিক এজেন্ডা নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। ইউরোপে আগামী ৬০ বছরের ভূ রাজনীতি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সম্মেলনটি শেষ হয়।