জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সঙ্কটের দুই-রাষ্ট্র সমাধানকে তুলে ধরে শান্তি ও উন্নত বৈশ্বিক শৃঙ্খলার জন্য তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে ৬০ তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে (এমএসসি) ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের স্থায়ী সমাধানের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন,শুধুমাত্র দুই রাষ্ট্রের সমাধানের মাধ্যমে অঞ্চলটি দীর্ঘস্থায়ী নিরাপত্তা অর্জন করতে পারে।
মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শউকরি প্যানেল আলোচনায় বলেন, অতীতে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পিছনে কারণগুলোর একটি অংশ ছিল রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব। তিনি বলেন,‘আমি মনে করি আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং নিশ্চিত যে এটিই একমাত্র সমাধান, একটি কার্যকর সমাধান যা এই অঞ্চলকে সহিংসতার চক্র থেকে বের করে আনতে পারে এবং সকলের সমৃদ্ধি এবং শান্তিতে বসবাসের জন্য স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। কাতারের প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বলেছেন,এখন যা ঘটছে তা ‘একটি জাগানোর আহ্বান’ এবং ‘আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এই অঞ্চলের মানুষের জন্য একটি ভাল ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে হবে। দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান ১৯৬৭ সীমান্তে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের নিশ্চয়তা দেয় যার রাজধানী ছিল পূর্ব জেরুজালেম।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস সম্মেলনে তার বক্তৃতায়, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে সমর্থন করে বলেন, এটি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয়ের জন্যই সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসতে এবং একটি শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যত অর্জনের চাবিকাঠি। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর একটি প্যানেল আলোচনায় বলেছেন, একটি স্থায়ী সমাধান হতে হবে, সংঘাতের একটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধান, অন্যথায় ‘আমরা সংঘাতের একটি পুনরাবৃত্তি দেখতে যাচ্ছি।
মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনায় ভাষণ দিতে গিয়ে সাউদি পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফয়সাল বলেন, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে যত বেশি ঐকমত্য হবে, বিশ্ব ততই কাছে আসবে। ফয়সাল বলেন,‘আমরা একমত যে দুই-রাষ্ট্র সমাধানই সঠিক সমাধান।