এই লেখাটা মেয়েদের জন্য। দেহে ইস্ট্রোজেন হরমোন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি থাকলে পিরিয়ড শুরু হতেই অনেকখানি দেরী হয়। এছাড়াও ব্রণের সমস্যা, অকারণে মেজাজ হারানো, শরীরের গঠনগত পরিবর্তন এসব হয়েই থাকে। মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন মাত্রা ছাড়িয়ে গেলেই বিপদ, চরম ক্ষতি প্রজননে। মেয়েদের শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া নির্ভর করে হরমোনের উপর। ইস্ট্রোজেন আর প্রোজেস্ট্রেরন মহিলাদের শরীরের দুই গুরুত্বপূর্ণ হরমোন। এই দুইয়ের মাত্রা গড়বড় হলেই বিপদ। তখন সেখান থেকে দেখা দেয় একাধিক শারীরিক সমস্যা। মহিলাদের মাসিক বা ঋতুচক্রের জন্য দায়ী এই ইস্ট্রোজেন হরমোন। এই হরমোন অস্বাভাবিক মাত্রায় বাড়তে শুরু করলে তখনও কিন্তু বিপদ। সেখান থেকে পিরিয়ড পিছিয়ে যায় এবং একাধিক সমস্যা হয়। এমন সব সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ তো নিতেই হবে সেই সঙ্গে পরিবর্তন আনতে হবে রোজকার ডায়েটেও। বানিয়ে নিতে পারেন এই বিশেষ খাবার। এতে শরীরে হরমোনের মাত্রা থাকবে নিয়ন্ত্রণে। টক দই, গাজর, ক্যাপসিকাম, ব্রকোলি উপকারী। দইয়ের মধ্যে থাকে প্রোবায়োটিক, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে এবং ইস্ট্রোজেন বিপাকে সাহায্য করে। ক্যাপসিকামের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি যা ইস্ট্রোজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। গাজরের মধ্যে থাকে প্রচুর ফাইবার যা ইস্ট্রোজেনের ডিটক্সিফিকেশন বাড়ায়। ব্রকোলির মধ্যে থাকে গ্লুকোসিনোলেটস যা লিভারের এনজাইমকে ভেঙে দেয় আর পনিরে থাকা লেপটিন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে এসব কিছুর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাঁকে সমস্যার কথা জানান। তিনি যে ভাবে পরামর্শ দেবেন সেইভাবেই চলতে হবে। তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট।