• ১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

গভীর রাতে চেকপোস্টে হামলা , থানচি থমথমে : এলাকা ছাড়ছেন অনেকে

usbnews
প্রকাশিত এপ্রিল ৫, ২০২৪
গভীর রাতে চেকপোস্টে হামলা , থানচি থমথমে : এলাকা ছাড়ছেন অনেকে
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

ব্যাংকে হামলা-লুট, অস্ত্র-গুলি লুট, অপহরণ ও গোলাগুলির ঘটনার পর বান্দরবানে থানচি উপজেলা সদরসহ সর্বত্র পরিস্থিতি থমথমে। বন্ধ রয়েছে থানচি বাজারের বেশির ভাগ দোকানপাট। আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে যাচ্ছেন অনেক নারী ও শিশু। থানচি এলাকায় বিজিবি ও পুলিশের সতর্ক পাহারা দেখা গেছে। সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশের যৌথ অভিযান কেএনএফ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব কর্মকর্তারা। সন্ত্রাসীদের দমনে পাহাড়ে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের মতো সব ধরনের কৌশল অবলম্বন করা হবে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। রুমা ও থানচিতে তিনটি ব্যাংকে ডাকাতি, পুলিশ ও আনসারের অস্ত্র লুট, থানায় হামলা ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় ছয়টি মামলা করেছে পুলিশ। অপহরণের দুই দিনের মাথায় পরিবারের কাছে ফিরলেন বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দীন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রুমা উপজেলার বেথেল পাড়া দিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। পরে গতকাল তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে র‌্যাব।

বান্দরবানে হামলা ও ব্যাংক লুটের পর সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী, র‍্যাব, বিজিবি ও পুলিশের যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। গতকাল থেকে বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলার দুর্গম এলাকায় যৌথবাহিনীর এই সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়। সশস্ত্র পাহাড়ি সন্ত্রাসী কেএনএফ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। একইসঙ্গে সন্ত্রাসীদের দমনে পাহাড়ে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের মতো সব ধরনের কৌশল অবলম্বন করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্যাবের আইন ও গণমাধ্যম বিভাগের পরিচালক খন্দকার আল মঈন। গতকাল বান্দরবান জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। বলেন, গত কয়েকদিনে ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনার দুইটি উদ্দেশ্য থাকতে পারে। প্রথমত, টাকা লুটপাট ও অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়া। দ্বিতীয়ত, সক্ষমতা প্রদর্শন করা। কেএনএফ তাদের সমর্থক ও প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে দেখাতে চাইছে, তারা যথেষ্ট শক্তিশালী একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। সন্ত্রাসীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ দেয়া হয়েছিল।

দুটি ব্যাংকে হামলা, অস্ত্র লুট, অপহরণ ও গোলাগুলির ঘটনার পর বান্দরবানের থানচি উপজেলা সদরে শুক্রবার পরিস্থিতি থমথমে। বন্ধ রয়েছে থানচি বাজারের বেশির ভাগ দোকানপাট। আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে যাচ্ছেন অনেক নারী ও শিশু। থানচি এলাকায় বিজিবি ও পুলিশের সতর্ক পাহারা দেখা গেছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আতঙ্কের কোনো কারণ নেই।