• ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বিধ্বস্ত খান ইউনিসে ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা

usbnews
প্রকাশিত এপ্রিল ১০, ২০২৪
বিধ্বস্ত খান ইউনিসে ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে গত কয়েক মাস ধরে অবস্থানের পর ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হওয়ায় ফিলিস্তিনিরা ধ্বংস্তূপে পরিণত হওয়া তাদের বাড়িঘরগুলোতে ফিরতে শুরু করেছেন। ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গালান্ত বলেছেন, গাজা থেকে রোববার ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। আর এই কাজটি করা হয়েছে ভবিষ্যতে সামরিক অভিযানের কথা চিন্তা করেই। বিশেষ করে, দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে অভিযান চালানোর জন্য। এদিকে, গাজায় মানবিক সাহায্যপণ্য নিয়ে প্রবেশের জন্য ৩২২টি ট্রাককে কারেম আবু সালেম ও রাফাহ ক্রসিং অতিক্রমের অনুমতি দিয়েছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। এসব ট্রাকে রয়েছে পানি, চিনি, আটাসহ অন্যান্য অত্যাবশ্যক পণ্য, যা ফিলিস্তিনিদের জন্য এখন খুবই প্রয়োজন। তবে এসব ট্রাকের কোনোটিকেই গাজার উত্তর অংশে পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ মানবিক সাহায্যবাহী ট্রাক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করত। আর এর অর্থ হলো এখন যে হারে ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, তা সেখানকার অধিবাসীদের প্রয়োজন মেটাতে পারবে না। বিশেষ করে, গাজার উত্তর অংশে যারা আটকা পড়েছেন, তারা ভীষণ পুষ্টিহীনতায় ভুগলেও সেখানে সহায়তা সামগ্রী পৌঁছানো যাচ্ছে না। অন্যদিকে, মিসরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল কাহেরা জানিয়েছে, কায়রোতে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছে অংশ নেওয়া পক্ষগুলোর প্রতিনিধিরা।

আল কাহেরার প্রতিবেদন অনুসারে, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও কাতারের প্রতিনিধিরা কায়রো থেকে ফিরে গেছেন। তারা দুদিন পরে একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছাতে আবারও আলোচনায় যোগ দেবেন। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের প্রতিনিধিরাও কায়রো ত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। এর আগে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেটজ এক প্রতিবেদনে জানায়, রোববার ইসরাইলি প্রতিনিধিরা কায়রোতে আলোচনায় অংশ নেয়, যেখানে হামাসের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় আরও অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক উইলিয়াম বার্নস ও কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি। ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, হামাসের হাতে থাকা ইসরাইলি পণবন্দিদের মুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্র নতুন কিছু প্রস্তাব আলোচনায় উত্থাপন করতে যাচ্ছে।

ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গালান্ত বলেছেন, গাজা থেকে রোববার ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। আর এই কাজটি করা হয়েছে ভবিষ্যতে সামরিক অভিযানের কথা চিন্তা করেই। বিশেষ করে, দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে অভিযান চালানোর জন্য। দীর্ঘদিন ধরেই দক্ষিণ গাজার রাফা শহরটিতে অভিযান চালাতে আগ্রহী ছিল ইসরাইল। তাদের দাবি, ওইখানেই রয়েছে হামাসের মূল ঘাঁটি। তাই হামাসকে পুরোপুরি শেষ করতে গেলে রাফায় অভিযান করতেই হবে। কিন্তু একাধিকবার আন্তর্জাতিক মহলের তোপের মুখে পড়েছে ইসরাইলের এ পরিকল্পনা। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে ইসরাইল-হামাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ওইদিন সকালে আচমকাই সীমানা পেরিয়ে ইসরাইলে ঢুকে পড়ে হামাসের যোদ্ধারা। অন্তত ১১৭০ জন ইসরাইলির মৃত্যু হয় এই হামলায়। শতাধিক ইসরাইলিকে পণবন্দি করে হামাস। ছয় মাস ধরে চলতে থাকা এ সংঘর্ষে অন্তত ৩৩ হাজার ১৭৫ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। ইসরাইলের দাবি, ১২ হাজার হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে তাদের সেনা। যদিও হামাসের পক্ষ থেকে এ সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। অন্যদিকে ২৬০ জন ইসরাইলি সেনার মৃত্যু হয়েছে। ইসরাইলি পণবন্দিদের মধ্যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ১২ জনের দেহ ফেরত পাঠিয়েছে হামাস।