অ্যান্টার্কটিকায় সম্প্রতি বিশাল তেলের মজুদ আবিষ্কার করেছে রাশিয়া। যুক্তরাজ্যের হাউস অফ কমন্সের এন্ভায়রনমেন্ট অডিট কমিটি (ইএসি) বলেছে যে, রাশিয়ার আবিষ্কৃত মজুদগুলিতে প্রায় ৫০হাজার ১১শ’ কোটি ব্যারেল তেল রয়েছে, যা গত ৫০ বছরে উত্তর সাগর থেকে পাওয়া তেলের প্রায় ১০ গুণের সমান। গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের সংসদে ইএসি-এর পরিবেশিত নথি অনুযায়ী, অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে যুক্তরাজ্যের দাবিকৃত ওয়েডেল সাগরে রাশিয়া তার গবেষণা জাহাজগুলির মাধ্যমে তেল ক্ষেত্রটি আবিষ্কার করেছে।
যদিও, বিশেষজ্ঞরা এখন দাবি করেছেন যে, রাশিয়া তেল ও গ্যাসের জন্য অ্যান্টার্কটিকার কিছু অংশে আধিপত্য বিস্তার করতে পারে এবং অ্যান্টার্কটিক চুক্তি লঙ্ঘন করে সামরিক উদ্দেশ্যে মহাদেশটি জরিপ করতে পারে, তবে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতরের অন্যতম মন্ত্রী ডেভিড রুটলি এই অঞ্চলে রাশিয়ার পদক্ষেপগুলিকে আটলান্টিক চুক্তির লঙ্ঘন বলে দ্বিমত পোষণ করেছেন।
রুটলি ইএসিকে বলেন, ‘দেশটি সম্প্রতি চুক্তির মূল উপাদানগুলির প্রতি তার প্রতিশ্রুতি পুনর্নিশ্চিত করেছে। দেশটি বারবার আশ্বাস দিয়েছে যে তার জরিপ সম্পূর্ণরূপে বৈজ্ঞানিক উদ্দেশ্যে।’ একটি বিবৃতিতে, পররাষ্ট্র, কমনওয়েল্থ এবং উন্নয়ন কার্যালয় রুটলির মতামত পুনর্ব্যক্ত করে বলেছে, ‘রাশিয়া বারবার আন্টার্কটিক চুক্তি সংক্রান্ত বৈঠকে আশ্বস্ত করেছে যে এই কার্যক্রমগুলি বৈজ্ঞানিক উদ্দেশ্যে।’
উল্ল্যেখ্য, অ্যান্টার্কটিকা মহােেদশ ১৯৫৯ সালের স্বাক্ষরিত ‘দ্য অ্যান্টার্কটিক ট্রিটি’ দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে, যা বলে যে, কোনও একক দেশ এই অঞ্চলের মালিক নয় এবং এই অঞ্চলটিকে শান্তি ও বিজ্ঞানের প্রতি নিবেদিত একটি মহাদেশ হিসাবে মনোনীত, যার অর্থ এই অঞ্চলে সমস্ত তেল উত্তোলন নিষিদ্ধ। আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, চিলি, ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে এবং যুক্তরাজ্য সহ সাতটি দেশের অ্যান্টার্কটিকার উপর আঞ্চলিক দাবি রয়েছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য বেশিরভাগ দেশ এই দাবিগুলিকে স্বীকৃতি দেয় না।