গাজা উপত্যকায় শিশুদের ওপর বর্বর হামলার কারণে ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে জাতিসংঘের সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিনের স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তিনি বলেছেন, অনেক আগেই ইসরাইলকে কালো তালিকায় যুক্ত করা উচিত ছিল।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে ‘লজ্জার তালিকায়’ যোগ করাকে ‘সঠিক পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইসরাইলকে এই লজ্জার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলেও তাদের হামলায় নিহত শিশুদের জীবন ফিরে আসবে না কিংবা পঙ্গু হয়ে পড়া মানুষের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যাবে না।’
এক্স হ্যান্ডেলে রিয়াদ মানসুর আরও বলেন, ‘এটা সঠিক নির্দেশনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। দুমুখো নীতি ও দায়মুক্তির সংস্কৃতির কারণে ইসরাইল যে সুবিধা ভোগ করে আসছিল এবং যার কারণে আমাদের শিশুদের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে, এ সিদ্ধান্তের ফলে তা কিছুটা হলেও দূর হবে।’
অন্যদিকে, স্বশাসন কর্তৃপক্ষের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রিয়াদ মালিকি এক বিবৃতিতে বলেছেন, “অনেক বিলম্বে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গাজায় কোন ধরনের বিপর্যয় চলছে, তা বিশ্ব এখন খালি চোখেই দেখছে। সেখানে গণহত্যা চালানো হচ্ছে, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ইসরাইলকে কালোতালিকাভুক্ত না করতে জাতিসংঘ মহাসচিবের সামনে আর কোনো অজুহাতের পথ খোলা ছিল না।”
এদিকে, ইসরাইলকে কালোতালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’। সংস্থাটির মানবিক নীতি ও পরামর্শবিষয়ক বিভাগের প্রধান আলেকজান্দ্রা সায়েহ বলেন, ‘জাতিসংঘের এ সিদ্ধান্ত ইসরাইলকে জবাবদিহির মুখে দাঁড় করাতে পথ তৈরি করবে।’ তবে তিনি এও বলেন যে, ‘এটা সত্যিকারের লজ্জাজনক ঘটনা যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন পর্যন্ত গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারল না।’