তার বীরোচিত বোলিংয়েই এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে ২ উইকেট।
বাংলাদেশের প্রথম লেগ-স্পিনার হিসেবে বিশ্বকাপের মতো বড় ইভেন্টে খেলেতে নেমেই ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন রিশাদ। প্রথম ম্যাচেই ২২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন রিশাদ।
ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগারের চেয়ে ম্যাচে অনেক বেশি প্রভাব বিস্তারের কারনে আলোচনার বেন্দ্রবিন্দুতে রিশাদ। মন্থর উইকেটে ব্যাট হাতে ভালো শুরু করেছিলো শ্রীলঙ্কা। শুরুটা ভালো হওয়ায় ১৫০ রানের বেশি সংগ্রহ পাবার সুযোগ ছিলো লঙ্কাদের। তেমনটা হলে বাংলাদেশের ম্যাচ জয় কঠিন হয়ে যেত।
১৪ ওভার ৩ উইকেটে ১শ রান পেয়ে যাওয়ায় শেষদিকে আক্রমানত্মক হয়ে ওঠার পরিকল্পনায় ছিলো শ্রীলংকা। কিন্তু ১৫তম ওভারে রিশাদের জোড়া আঘাতে চাপে পড়ে যায় লঙ্কানরা। পরপর দুই ডেলিভারিতে চারিথ আসালঙ্কা ও হাসারাঙ্গা ডি সিলভাকে আউট করে শ্রীলঙ্কার রানের লাগাম টেনে ধরার পথ তৈরি করেন রিশাদ। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১২৫ রানে আটকে যায় শ্রীলঙ্কা।
ক্রিজে দুই শ্রীলঙ্কান দুই সেট ব্যাটার থাকায় রান দেওয়ার সম্ভাবনা ছিলো রিশাদের।
টিম ম্যানেজমেন্ট আস্থা রাখলে দলের জন্য একজন লেগ-স্পিনার কতটা মূল্যবান হতে পারে-তার প্রমাণ দিয়েছেন বাংলাদেশের রিশাদ হোসেন।
বিশেষ করে বাংলাদেশে লেগ-স্পিনারদের খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কারণ ঘরোয়া ক্লাব ক্রিকেটে বল হাতে ব্যয়বহুল হয়ে থাকেন তারা। এমনকি দেশের প্রথম শ্রেনির টুর্নামেন্টেও তাদের গুরুত্ব কম থাকে।লেগ-স্পিন শেখাটা একটা কঠিন শিল্প। তবে প্রায় সব দেশই লেগ-স্পিনারদের সমর্থন করে থাকে। এই ধরণের স্পিনাররা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট শিকারে অবদান রাখতে পারেন।শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট, বিশ্বকাপ অভিষেকেই এমন দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ছিল বড় পুরস্কারের অপেক্ষা, অর্থাৎ ম্যাচ জয়। যা পরে হয়েছে এবং রিশাদ হয়েছেন ম্যাসেরা।