ইইউ পার্লামেন্টের নির্বাচনে জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়াতে অতি-ডানপন্থিরা ভালো ফল করেছে। কিন্তু তারা মধ্যপন্থিদের সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া আটকাতে পারছে না। ফলাফল থেকে বোঝা যাচ্ছে, উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন ২০২৯ পর্যন্ত ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট থাকবেন।
উরসুলা বলেছেন, ‘আমরা ইউরোপীয় নির্বাচন জিতছি। আমরা এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী দল। আমরা স্থায়িত্বের প্রতীক। মধ্যপন্থিরা জয় ধরে রাখতে পেরেছে।’ তিনি বলেছেন, ‘আমরা চরমপন্থিদের বিরুদ্ধে দুর্গ গড়ে তুলব।’ এভাবেই মধ্য-বামপন্থি ও উদারবাদীদের বার্তা দিয়েছেন উরসুলা
২৭টি দেশের সরকারি প্রোজেকশন দেখাচ্ছে, উরসুলার মধ্য-ডানপন্থি ইউরোপীয়ান পিপলস পার্টি (ইপিপি) ৭২০টি আসনের ইইউ পার্লামেন্টের ১৯১টি আসনে তারা জিতেছে। দ্বিতীয় স্থানে আছে মধ্য-বামপন্থি সোস্যালিস্টস অ্যান্ড ডেমোক্র্যাটরা(এস অ্যান্ড ডি)। তাদের শক্তি সামান্য কমলেও তারা ১৩৫টি আসন পেয়েছে। তৃতীয় স্থানে আছে উদারপন্থি রিনিউ গ্রপ, তারা পেয়েছে ৮৩টি আসন।
ফ্রান্সে অতি-দক্ষিণপন্থি ল্য পেনের ন্যাশনাল র্যালি, অস্ট্রিয়ায় ফ্রিডম পার্টি অফ অস্ট্রিয়া এবং জার্মানিতে অলটারনেটিভ অফ জার্মানি (এএফডি) ভালো ফল করেছে। কিন্তু তারা গোটা ইউরোপের রাজনৈতিক মানচিত্রকে অবিলম্বে বদলে দেয়ার মতো জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি। এটা ঠিক, আগের তুলনায় অতি-দক্ষিণপন্থিদের সদস্যসংখ্যা বাড়বে। তারা আরো জোরালোভাবে তাদের মতামত জানাতে পারবেন।
অতি-দক্ষিণপন্থিরা সবচেয়ে ভালো হয়েছে ফ্রান্সে। তারা প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁর দলের থেকে দ্বিগুণ ভোট পেয়েছে। ম্যাখোঁর দল পেয়েছে ১৫ শতাংশ ভোট ও ন্যাশনাল র্যালি পেয়েছে ৩০ শতাংশ ভোট। এরপর ম্যাখোঁ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ভেঙে দিয়ে আবার নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন।
জার্মানিতে চ্যান্সেলর শলৎসের দল এসপিডি তৃতীয় স্থানে আছে। শলৎসের জোটশরিক গ্রিন পার্টিও ১০টি আসন হারাচ্ছে। অতি-দক্ষিণপন্থি এএফডি আছে দ্বিতীয় স্থানে। তবে জার্মানিতে রক্ষণশীল সিডিইউ/সিএসইউ সবচেয়ে বেশি ভোট পাচ্ছে।