• ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৫ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

নেপালকে হারিয়ে সুপার এইটে বাংলাদেশ

usbnews
প্রকাশিত জুন ১৭, ২০২৪
নেপালকে হারিয়ে   সুপার এইটে বাংলাদেশ
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

আজ সেন্ট ভিনসেন্টে নেপালকে ২১ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ৭ রানে তানজিম সাকিব ৪ ও মোস্তাফিজুর রহমান নেন ৩ উইকেট। এছাড়া সাকিব আল হাসানের শিকার জোড়া উইকেট।

ব্যাটাররা ব্যাট হাতে চরম ব্যর্থ হলেন। পরে বোলাররা ব্যাট হাতে রাখলেন ছোট ছোট অবদান। তাতে ১০৬ রানের ছোট পুঁজি পেলো বাংলাদেশ। এরপর বোলাররা সেই রানকেই ডিফেন্ড করলেন। সুপার এইট নিশ্চিত করতে এই ম্যাচে জয় দরকার ছিল, সেটাই করলো বাংলাদেশ ।

আজ আক্রমণে এসে তিনি প্রথম ওভারে ৫ রান দিয়েছিলেন। পরের তিন ওভার মিলিয়ে তিনি রান দিয়েছেন মোটে ২। সব মিলিয়ে তিনি তার কোটা শেষ করেছেন ২১টা ডট বল নিয়ে। তাতেই গড়া হয়ে গেছে রেকর্ডটা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ডট বলের রেকর্ডটা এখন হয়ে গেছে তার।

২০১২ বিশ্বকাপে অজন্তা মেন্ডিস জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০টা ডট বল দিয়ে রেকর্ডটা গড়েছিলেন। এরপর এবারের বিশ্বকাপে এই রেকর্ডটা তিন বার ছুঁয়েছেন তিন বোলার।

৫২ রানের জুটি ভাঙলেন মোস্তাফিজুর 

২৬ রানে ৫ উইকেট হারানো পর দীপেন্দ্র ও কুশাল মিলে এগিয়ে নিচ্ছিলেন নেপালকে। তবে এবার কুশালকে ফিরিয়ে ৫২ রানের জুটি ভাঙলেন মোস্তাফিজুর রহমান।

তানজিম সাকিবের তোপে ২৬ রানে ৫ উইকেট নেই নেপালের 

স্বপ্নের মতো একটা স্পেল করলেন তানজিম হাসান সাকিব। স্পেলের শেষ বলেও পেলেন উইকেটের দেখা। সবমিলিয়ে ৪ ওভারে ৭ রান খরচায় ৪ উইকেট নিলেন এই ডানহাতি পেসার।

৬ ওভারে নেপাল ২৪/৪

বাংলাদেশের দেওয়া ১০৭ রান তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে ২৪ রান তুলেছে নেপাল।

১০০তম ম্যাচে আক্রমণেই এসেই উইকেট নিলেন 

বাংলাদেশের জার্সিতে ১০০তম টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেছেন মোস্তাফিজুর রহমান।

দলের ১৭তম সেই ওভারে স্রেফ ১ রান দিয়ে নেন কুসলের (৪০ বলে ২৭ রান) উইকেট। নিজের শেষ ও দলীয় ১৯তম ওভারে মুস্তাফিজ নেন উইকেট মেডেন। ৩১ বলে ২৫ রানের লড়াকু ইনিংস খেলা ঐরিকে কট বিহাইন্ড করেন বাঁহাতি পেসার।

শেষ ওভারে নেপালের দরকার ছিল ২২ রান। প্রথম দুই বলেই বাকি দুই উইকেট তুলে নেন আগের তিন ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকা সাকিব। এই বাঁহাতি স্পিনার ৯ রানে নেন ২ উইকেট। কোনো রান না যোগ করেই শেষ ৪ উইকেট হারায় নেপাল।

বাংলাদেশের দিনের শুরুটা হয়েছিল প্রথম বলেই তানজিদ হাসানের অদ্ভুদ শটে ক্যাচ আউটে। ইনিংসের শেষ হয় মুস্তাফিজুর রহমানের রান আউটে। ৩ বল বাকি থাকতে ১০৬ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ।

ইনিংসে ২০ রান নেই কারো। সর্বোচ্চ ১৭ রান (২২ বলে) সাকিবের। দুটি করে উইকেট নেন নেপালের চার বোলার।

জাকের আলিকে বোল্ড করে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট পূর্ণ করেন সন্দীপ লামিছানে। মাত্র ৫৪ ম্যাচ লাগল তার। এর চেয়ে দ্রুত ১০০ উইকেট নিতে পেরেছেন শুধু রাশিদ খান, ৫৩ ম্যাচে।

এছাড়া ওয়ানডেতে একশ উইকেটে লামিছানেই দ্রুততম। মাত্র ৪২ ম্যাচে উইকেটের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন নেপালের লেগ স্পিনার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ১৯.৩ ওভারে ১০৬ (তানজিদ ০, লিটন ১০, শান্ত ৪, সাকিব ১৭, হৃদয় ৯, মাহমুদউল্লাহ ১৩, জাকের ১২, তানজিম ৩, রিশাদ ১৩, তাসকিন ১২*, মুস্তাফিজ ৩; কামি ৩-০-১০-২, ঐরি ৩.৩-০-২২-২, রোহিত ৪-০-২০-২, লামিছানে ৪-১-১৭-২, ভুরতেল ৪-০-২২-০, আবিনাশ ১-০-১০-০)

নেপাল: ১৯.২ ওভারে ৮৫ (ভুরতেল৪, আসিফ ১৭, ০, রোহিত ১, জোরা ১, মাল্লা ২৭, ঐরি ২৫, ঝা ০, কামি ০, লামিছানে ০*, আবিনাশ ০; তানজিম ৪-২-৭-৪, তাসকিন ৪-০-২৯-১, মুস্তাফিজ ৪-১-৭-৩, রিশাদ ৩-০-১৫-০, সাকিব ২.২-০-৯-২, মাহমুদউল্লাহ ২-০-৫-০)

ফল: বাংলাদেশ ২১ রানে জয়ী

ম্যাচসেরা: তানজিম হাসান সাকিব