• ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফল , কোনও একক দল কিংবা জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি

usbnews
প্রকাশিত জুলাই ১০, ২০২৪
ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফল , কোনও একক দল কিংবা জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। দেখা গিয়েছে, কোনও একক দল কিংবা জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ত্রিশঙ্কু পার্লামেন্টে আসন সংখ্যার নিরিখে শীর্ষে বামেরা। অপ্রত্যাশিত ফলাফলে অতি দক্ষিণপন্থীরা নেমে গিয়েছে তৃতীয় স্থানে। ইমানুয়েল ম্যাখোঁর মধ্যমপন্থী রেনেসাঁ পেয়েছে দ্বিতীয় স্থান। ব্রিটেনের মতোই ফ্রান্সের মানুষ উগ্র দক্ষিণপন্থীদের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধেই রায় দিয়েছে, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে ‘ন‌্যাশনাল পপুলার ফ্রন্ট’ বৃহত্তম জোট হিসাবে নির্বাচিত হলেও বামপন্থীদের হাতে ক্ষমতা ছাড়তে নারাজ ম্যাখোঁ। পাশাপাশি দক্ষিণপন্থী লো পেন হেরে গিয়েও পিছু হটতে রাজি নন। এদিকে ‘ম্যাজিক ফিগার’ ২৮৯ থেকে কিন্তু দূরে সব দলই। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টই । তার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৭-এ। এর আগে তিনি সরে দাঁড়াবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এই ধরনের নির্বাচনী ফলাফল ম্যাখোঁর দল ও তার পজিশনকেই ক্রমশ দুর্বল করে তুলবে। বেকারত্ব ও আরও নানা ইস্যুতে এমনিতেই চাপে পড়তে হয়েছে তাকে। তার দলের মধ্যেও অনেকে পছন্দ করছেন না নেতাকে। নির্বাচনের এই ফলাফলে চাপ আরও বাড়ল ম্যাখোঁর উপরে।

প্রেসিডেন্টকেই এবারের নির্বাচনে ‘প্রকৃত পরাজিত’ বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। এলিসি প্রাসাদে থাকা ম্যাখোঁর সঙ্গে সাধারণ মানুষের দূরত্ব যে ক্রমেই বেড়েছে তা স্পষ্ট। তাঁকে ‘সাম্রাজ্যবাদী’ বলেই মনে করে আমজনতা। এহেন অবস্থায় তাঁর আশা ছিল, নির্বাচনী ফলাফলে হয়তো পরিস্থিতি বদলাবে। কিন্তু দেখা গেল জটিল রাজনৈতিক অঙ্কের জন্ম দিয়েছে ভোটের ফল। যার ফলে বিশ্বের দরবারে ফ্রান্সের প্রভাব কমবে। এবং এই সংকট থেকে সহজে পরিত্রাণও মিলবে না।

আপাতত ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দিতে ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন ম্যাখোঁ। জানিয়েছেন, পরবর্তী পদক্ষেপ ভেবেচিন্তে করতে চান তিনি। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নতুন সরকার গড়তে বামপন্থীদের সঙ্গেই হয়তো হাত মেলাবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। কিন্তু ফ্রান্সে আজ পর্যন্ত কখনওই জোট সরকার তৈরির নিদর্শন নেই। এই পরিস্থিতিতে ম্য়াখোঁ কী পদক্ষেপ করেন সেদিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।