• ২৮শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৮শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

ইস্তানবুলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্যোগে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সামনে বিক্ষোভ

usbnews
প্রকাশিত জুলাই ২১, ২০২৪
ইস্তানবুলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্যোগে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সামনে  বিক্ষোভ
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক , তুরস্ক থেকে  : আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, গত ৪৮ ঘন্টার বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে অনির্বাচিত ফ্যাসিবাদী সরকার গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়া ১০৬জন তরুণ ছাত্র নিহত হওয়ার খবর প্রচার করলেও প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরো অনেক বেশি। গুরুতর আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার। এই গণহত্যা চালানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসী ক্যাডারদের মাধ্যমে। তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের ঘোষণা করেছেন, দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমেই প্রমাণ করেছে শেখ হাসিনার একক নির্দেশে এই গণহত্যা চালানো হয়েছে।

বাংলাদেশে চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে তুরস্কের ইস্তানবুলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্যোগে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভে তিনি এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা চাকুরিতে মেধাকে পাস কাটিয়ে অন্যায্য কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছিলেন। শান্তিপূর্ণ এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা তাঁর দলীয় সন্ত্রাসী অস্ত্রধারী ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে। অস্ত্রধারী ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর খুনের চিত্র গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়ায় দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

মাহমুদুর রহমান বলেন, চলমান আন্দোলন ও বিক্ষোভ দমনে শেখ হাসিনা যে পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন, অনুরূপ পদ্ধতিতে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে মাদ্রাসা ছাত্রদের উপর গণহত্যা চালিয়েছিল। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে ভারত। ভারতের বর্তমান হিন্দুত্ববাদি সরকার প্রধান নরেন্দ্র মোদিও গুজরাটে একইভাবে মুসলমান নারী-শিশুদের উপর গণহত্যা চালিয়েছিলেন।

May be an image of 7 people, crowd and text

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তামন পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যার সাথে তুলনা করা চলে। পশ্চিমা দেশ গুলোর সহযোগিতা ও সমর্থনে গাজায় ইসরাইলি বাহিনী ফিলিস্তিনের মুসলিম নারী-শিশুদের নির্বিচারে গণহত্যা চালাচ্ছে। একইভাবে শেখ হাসিনাও দেশে তরুণ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর গণহত্যায় মেতে উঠেছে।

তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশ গুলো মুখে গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের কথা বললেও মুসলিম দেশ গুলো নিয়ে তারা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড অবস্থান নিয়েছে। মিশরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ড. মুর্সির সরকারকে উৎখাত করে ফ্যাসিবাদী স্বৈরাশাসক বসিয়েছে।

May be an image of 14 people, crowd and text

 

আমার দেশ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহি ও সিলেট কুমিল্লাসহ প্রধান প্রধান শহর গুলোতে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কিশোর-তরুণ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলা চালাতে দেখা গেছে। এমনকি এসব সন্ত্রাসীরা হাসপতালে প্রবেশ করে আহত ছাত্রদের উপর হামলা চালিয়েছে।

আন্তর্জাতিক কমিউনিটি ও মুসলিম দেশ গুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের চলমান গণহত্যা বন্ধে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর চালানো গণহত্যার জন্য দায়ী শেখ হাসিনা, তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চিহ্নিত অফিসারদেরও এই গণহত্যার জন্য বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তিনি বলেন, মানবতা বিরোধী এই অপরাধ বন্ধ এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক কমিউনিটি এবং মুসলিম দেশ গুলো কুটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করতে পারে।

এই বিক্ষোভে প্রবাসী বাংলাদেশী ছাড়াও তুরস্কের স্থানীয় সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।