পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের চার রাজ্য— অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং মিজ়োরামের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। এ রাজ্যের পেট্রাপোল, চ্যারাবান্ধার পাশাপাশি ত্রিপুরার আখাউড়া এবং মেঘালয়ের ডাউকির সীমান্তে অভিবাসন কেন্দ্র (ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট) দিয়েও ফেরানো হচ্ছে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা শনিবার ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে তাঁর রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৪০৫ জন ভারতীয় শিক্ষার্থী এসেছেন।
তিনি বলেন, ‘‘গত ২৪ ঘণ্টায় সীমান্তবর্তী অভিবাসন কেন্দ্রে অনেক ভারতীয় শিক্ষার্থীপৌঁছেছেন।’’ প্রসঙ্গত, কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে হিংসাত্মক আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশে শুক্রবার দেশ জুড়ে কার্ফু জারি করেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে নামানো হয়েছে সেনা। তার পরেই ভারতীয় শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ ছাড়ার প্রবণতা শুরু হয়েছে ।
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গের ডিআইজি একে আর্য বলেন, ‘‘রাতেও কোনও শিক্ষার্থীর দল সীমান্তে এলে তাঁদের সাহায্য করা হবে। পেট্রাপোলের ইমিগ্রেশন ডেস্ক এখন সারা দিন-রাত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসএফ। সঙ্গে নিরাপত্তার দিকেও বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে। খোলা হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্পও। তা ছাড়া ডকুমেন্টেশনে সাহায্য করার জন্য রয়েছে বিশেষ ডেস্কও।’’
মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকেও জানাব। ছেলেমেয়েরা যাতে ঘরে ফিরতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হবে।”