• ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

জার্মানিতে ন্যাটোর ঘাঁটিতে হামলার আশঙ্কায় বাড়তি নিরাপত্তা

usbnews
প্রকাশিত আগস্ট ২৩, ২০২৪
জার্মানিতে ন্যাটোর ঘাঁটিতে হামলার আশঙ্কায় বাড়তি নিরাপত্তা
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় জার্মানিতে ন্যাটোর এক বিমান ঘাঁটিতে সতর্কতার মাত্রা বাড়ানো হয়েছে। ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার কারণে জার্মানিতে সামরিক স্থাপনার ঝুঁকি বেড়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

রাশিয়ার হামলার মুখে ইউক্রেনকে সক্রিয় মদত দেয়া সত্ত্বেও পশ্চিমা জগত এখনো সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েনি। কিন্তু মৌখিক প্রতিবাদ ও হুমকির পাশাপাশি রাশিয়া সামরিক জোট ন্যাটোর বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কার্যকলাপ চালানোর চেষ্টা করছে বলে সন্দেহ বাড়ছে। জার্মানির কোলন শহরের কাছে এক সামরিক ঘাঁটিতে এমন নাশকতার চেষ্টার পর সে দেশেই ন্যাটোর এক ঘাঁটির উপর ‘সম্ভাব্য হুমকি’-র মুখে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে কোলোনের ঘাঁটির পানীয় জল স্থাপনার কাছে প্রাচীরে গর্ত আবিষ্কারের পর নাশকতার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

জার্মানির পশ্চিমে গাইলেনকিয়র্শেন শহরের কাছে ন্যাটোর বিমানঘাঁটি সম্ভাব্য হুমকির মুখে রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে মনে করা হচ্ছে। ফলে সতর্কতার মাত্রা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে বাড়ানো হয়েছে, যা ‘চার্লি’ নামে পরিচিত। এর আওতায় পরিচালনার কাজে সরাসরি যুক্ত কর্মী ছাড়া বাকিদের বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সেই ঘাঁটিতে ন্যাটোর ‘এওয়্যাক্স’ নজরদারি বিমান মোতায়েন রয়েছে। সম্প্রতি অযাচিত এক ব্যক্তি সেখানে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। তবে সেটাই বর্তমান হুমকির কারণ কিনা, তা স্পষ্ট নয়।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকেই জার্মানিতে সামরিক স্থাপনায় সতর্কতা অনেক বাড়ানো হয়েছে। গত এপ্রিল মাসে তদন্তকারীরা দুই রুশ-জার্মান ব্যক্তিকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। তারা ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তায় বাধা সৃষ্টি করতে জার্মানিতে হামলার ষড়যন্ত্র করছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের মতে, জার্মানিতে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিও তাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল।

আখেন শহরের কাছে গাইলেনকিয়র্শেন ঘাঁটির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ন্যাটোর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী পদক্ষেপের আশঙ্কায় এমন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। নিরাপদে গুরুত্বপূর্ণ কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে তিনি সন্দেহের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানি। বিমান ঘাঁটিতে পুলিশের উপস্থিতিও বাড়ানো হয়েছে।