মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী গণতন্ত্রপন্থী শক্তিসমূহকে, তাদের অস্ত্র পরিত্যাগ করে আগামী বছর নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। তবে সশস্ত্র বিরোধী পক্ষ এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে বলেছে যে জান্তার ভোট আয়োজনের কোনো কর্তৃত্ব নেই।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের মাধ্যমে সেনাবাহিনী এ বিবৃতি প্রচার করে। এতে বলা হয় যে, সাধারণ নির্বাচনের আগে আগামী সপ্তাহে শুরু হতে যাওয়া একটি আদমশুমারির জন্য প্রস্তুতি চলছে।
তবে, গণতন্ত্রপন্থী শিবির ‘জাতীয় ঐক্য সরকারের’ একজন মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে মিয়ানমারের স্বাধীন গণমাধ্যম জানিয়েছে যে, সেনাবাহিনীর এই প্রস্তাব বিবেচনার যোগ্য নয়।
থাম্মাসাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক দুলিয়াপাক প্রিচারাশ হচ্ছেন একজন মিয়ানমার বিশেষজ্ঞ। দুলিয়াপাক বলেন যে, জান্তার এই প্রস্তাবের পিছনে সম্ভবত চীনের বর্ধিত চাপ থেকে থাকতে পারে। তিনি বলেন, “চীন মিয়ানমার সরকারের প্রতি তার সমর্থন বাড়িয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, তাদের স্বার্থ রক্ষিত হওয়া সাপেক্ষে বেইজিং বিভিন্ন পক্ষকে আলোচনার জন্য চাপ দেয়ার চেষ্টা করছে।”
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক দমন ও বিমান হামলার কারণে ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে এপর্যন্ত ৫ হাজারেরও বেশি বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।