গাজার পাশাপাশি এবার লেবাননে ঢুকেও ‘যুদ্ধ’ শুরু করেছে ইসরাইল। একের পর এক মিসাইল ছুড়ে ইরানের মদতপুষ্ট সংগঠন হেজবোল্লার ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরাইলি সেনা। কিন্তু রণক্ষেত্রে ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন তেল আভিভের ৮ জন সৈনিক। লেবাননে রক্তক্ষয়ী অভিযানের কথা জানিয়েছে ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)।
গত কয়েকদিন ধরে হেজবোল্লাকে টার্গেট করে লেবাননে রক্তর নদী বইয়ে দিচ্ছে ইসরাইলি ফৌজ। প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষও। এর মাঝেই শনিবার ইসরাইলি হামলায় নিহত হন নাসরাল্লা। এবার সর্বশক্তি নিয়ে লেবাননে ঝাঁপিয়ে পড়েছে আইডিএফ।
আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আজ লেবাননের ভেতরে লড়াইয়ে তাদের ২২ বছর বয়সী ক্যাপ্টেন ইতান ইতঝাক ওস্তার নিহত হয়েছেন। তিনি ছিলেন ইগোজ ইউনিটের টিম কমান্ডার। গেরিলা হামলার জন্য বাছাই করা কমান্ডোদের নিয়ে ইগোজ ইউনিটটি গঠিত।
এদিকে হিজবুল্লাহ জানায়, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী গ্রামে ঢুকে পড়া ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে তাদের যোদ্ধাদের লড়াই চলছে। লেবাননের হিজবুল্লাহর মুখপাত্র জানিয়েছেন, লেবাননে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ ‘যুদ্ধের প্রথম ধাপের’ অংশ।
এএফপির খবরে বলা হয়, এর আগে সংগঠনটি জানিয়েছিল, ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর-পূর্বের সীমান্তবর্তী আদায়েস গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করে। তখন তাদের প্রতিরোধের মুখে ইসরায়েলি সেনারা পিছু হটে।
বুধবার প্রথমে একজন সৈনিকের মৃত্যুর খবর বিবৃতি দিয়ে তারা জানায়, ‘লেবাননে অভিযান চালানোর সময় ২২ বছর বয়সি ক্যাপ্টেন ইতান ইতজাক ওস্টার নিহত হয়েছেন।’ এর পর আল জাজিরা সূত্রে জানা যায়, এখনও পর্যন্ত হেজবোল্লার সঙ্গে লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৭ জন।
এই পরিস্থিতিতে গোপন আস্তানায় লুকিয়ে পড়েছেন ইরানের সুপ্রিম লিডার খামেইনি। এনিয়ে ভারতের ইসরাইলি দূতাবাসের মুখপাত্র গাই নির হুঁশিয়ারি দিয়ে সংবাদমাধ্যমে বলেন, “ইরানের সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লা আলি খামেইনি যদি পুরোদমে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন তাহলে সেটা খুব বড় ভুল হবে। ইসরাইল কৌশলগতভাবে ইরানের মিসাইল হামলার জবাব দেবে। তবে সেটা যুদ্ধ নয়। আমরা মনে হয় না কেউ তা চাইবে। আর যদি অন্য কোনও দেশ ইরানকে সাহায্য করে তাহলে তার উপরও আমাদের তীক্ষ্ণ নজর থাকবে।’