• ২৫শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৭শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার থেকেও পিছিয়ে ভারত

usbnews
প্রকাশিত অক্টোবর ১৯, ২০২৪
ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার থেকেও পিছিয়ে ভারত
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

কোভিড টিকা তৈরি থেকে চন্দ্রযান এরূপ কিছু সাফল্য নিয়ে ভারত লম্ফঝম্প করলেও তেমন প্রতিফলন দেখা গেল না বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের রিপোর্টে। আইরিশ মানবাধিকার গোষ্ঠী কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড এবং জার্মানির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওয়েলথহাঙ্গারলাইফ এ সূচক তৈরি করে এবং প্রকাশ করে।

গ্লোবাল হাঙ্গার ইন্ডেক্স-এ ভারতের স্কোর ২৭.৩, যা সিরিয়াস বলে গণ্য হয়েছে। ক্ষুধা সূচক অনুযায়ী ২০-৩৪.৯, এই রেঞ্জে থাকলে তা এ বিভাগে পড়ে। ভারতের ক্ষেত্রে যে পরিসংখ্যান মিলেছে তা শিউরে ওঠার মতো। অপুষ্টি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং পুষ্টিকর খাবার না পাওয়ার কারণেই এমন চিত্র বলে মনে করা হচ্ছে।

১. মোট জনসংখ্যার ১৩.৭ শতাংশ অপুষ্টিতে ভোগে। ২. ৫ বছরের নীচে থাকা শিশুদের ৩৫.৫ শতাংশের বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম। ৩. ৫ বছরের নীচে থাকা শিশুদের ১৮.৭ শতাংশের বয়স ও উচ্চতার তুলনায় ওজন কম এবং ৪. ৫ বছর বয়সে পৌঁছনোর আগেই মারা যায় ২.৯ শতাংশ শিশু।

গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সের ওয়েবসাইট থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে দেখা যাচ্ছে গত দু’দশকে ধীরে ধীরে উন্নতি হয়েছে। কিন্তু ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে এ অগ্রগতি অনেকটাই কম বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

জিএইচআই-তে কোন সালে ভারতের কত স্কোর?
২০০০ সাল- ৩৮.৪, ২০০৮ সাল- ৩৫.২, ২০১৬ সাল- ২৯.৩, ২০২৪ সাল- ২৭.৩। আলাদা করে বিভাগগুলোতে চোখ রাখলে জিএইচআই-এর ওয়েবসাইটের তথ্য জানাচ্ছে, ২০০০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৫ বছরের নীচের শিশুদের বয়সের তুলনায় উচ্চতার মাপকাঠি, ৫ বছরের নীচের শিশুদের উচ্চতার তুলনায় ওজনের মাপকাঠি এবং পাঁচ বছরের নীচে শিশুমৃত্যুর হার ক্রমশ কমেছে। কিন্তু অপুষ্টি ফের মাথা চাড়া দিয়েছে। ২০১৬ সালে সারা দেশে ১১.৫ শতাংশ মানুষ অপুষ্টির শিকার ছিলেন, ২০২৪ সালে তা ১৩.৭ শতাংশ।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির নিরিখে বিচার করলে, ক্ষুধার সূচকে ভারতের থেকেও পিছিয়ে রয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। কিন্তু বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড রয়েছে পরিমিত জোনে। অর্থাৎ ক্ষুধার নিরিখে এদের অবস্থা ভারতের তুলনায় ভাল। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।