• ২৫শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৭শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

পারিবারিক বিরোধের কারণে আধুনিক সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা লি কুয়ান ইউয়ের পুত্র যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন

usbnews
প্রকাশিত অক্টোবর ২৩, ২০২৪
পারিবারিক বিরোধের কারণে আধুনিক সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা লি কুয়ান ইউয়ের পুত্র যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

সিঙ্গাপুরের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লি কুয়ান ইউয়ের পুত্র লি সিয়েন ইয়াং যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন। তিনি দাবি করে বলেন, যে সিঙ্গাপুরে তিনি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তার ভাই লি সিয়েন লুং-এর সঙ্গে পারিবারিক বিরোধের কারণে, যিনি ২০ বছর সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

তবে সিঙ্গাপুর সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, লি সিয়েন ইয়াং কোনো সমস্যায় পড়বেন না, তিনি যেকোনো সময় দেশে ফিরতে পারবেন। কিন্তু লি সিয়েন ইয়াং তা মনে করেন না।তিনি বিবিসি-কে তার রাজনৈতিক আশ্রয়ের নথি দেখিয়েছেন, যেখানে নিশ্চিত করা হয়েছে যে তিনি এবং তার স্ত্রী যুক্তরাজ্যে পাঁচ বছরের জন্য ‘আশ্রয়প্রার্থী’ মর্যাদা পেয়েছেন। যুক্তরাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তিনি “তার প্রতি নির্যাতনের আশঙ্কা রয়েছে” এবং সিঙ্গাপুরে নিরাপদে ফিরতে পারবেন না।

লি সিয়েন ইয়াং একসময় সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে বড় টেলিকম কোম্পানির শীর্ষ পদে ছিলেন। কিন্তু তার ভাইয়ের সঙ্গে বিরোধের পর থেকে তিনি সিঙ্গাপুর ছেড়ে লন্ডনে বসবাস শুরু করেন।লি সিয়েন ইয়াং বিরোধী রাজনৈতিক দলে যোগদান এবং সিঙ্গাপুর সরকারের কড়া সমালোচনাও করে থাকেন।তিনি যুক্তরাজ্য থেকে তার রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।

উল্লেখ্য লি সিয়েন লুং এই বছরের শুরুর দিকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন,তথাপিও তিনি সিঙ্গাপুর সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে রয়েছেন। লি সিয়েন ইয়াং পরিবারসহ বছর কয়েক আগে সিঙ্গাপুর ছেড়েছেন।তবে তিনি মনে করেন লি সিয়েন লুং তার ক্ষমতা ব্যবহার করে লি সিয়েন ইয়াং এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্যাতন করছেন।যদিও সিঙ্গাপুর সরকার এই অভিযোগগুলি অস্বীকার করেছে।

ইয়াং পরিবারের বিরোধের শুরু হয় তাদের পিতা লি কুয়ান ইউয়ের ২০১৫ সালে মৃত্যুর পর। লি কুয়ান ইউ সিঙ্গাপুরের আধুনিক প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিবেচিত হন। তাদের বাড়ি ৩৮ অক্সলি রোডকে ঘিরেই এই বিরোধ শুরু। বাড়িটির মূল্য কোটি কোটি ডলার। লি কুয়ান ইউ তার মৃত্যুর পর বাড়িটি ভেঙে ফেলার কথা বলে গিয়েছিলেন। কিন্তু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং সিদ্ধান্তে বাড়িটি না ভাঙ্গার সিধান্ত নেন।যদিও লি সিয়েন ইয়াং এবং তাদের বোন লি ওয়েই লিং বাড়িটি তাদের পিতার ইচ্ছা অনুযায়ী দ্রুত ভেঙে ফেলতে চেয়েছিলেন।

সম্প্রতি তাদের বোন মস্তিষ্কের রোগে মৃত্যুবরণ করেন।তারপর, লি সিয়েন ইয়াং বাড়িটি ভেঙে ফেলার জন্য আবেদন করেন এবং এর পরিবর্তে একটি ছোট পারিবারিক বাড়ি নির্মাণের প্রস্তাবও দিয়েছেন।