ভারতে বেশ কয়েকটি বিমানে শতাধিক বোমাতঙ্কের ঘটনায় রীতিমতো চিন্তিত প্রশাসনিক কর্তারা। ছ’দিনে বোমাতঙ্কের ঘটনা ঘটেছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, আকাসা এয়ারলাইন্সের একের পর এক দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমানে। তার মধ্যে ৩০টি বোমাতঙ্কের ঘটনা ঘটেছে শুধু মঙ্গলবারই।
যে আইপি অ্যাড্রেসগুলি ব্যবহার করে বোমার হুমকিবার্তা পাঠানো হচ্ছে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলি লন্ডন, জার্মানি, কানাডা এবং আমেরিকা থেকে পাঠানো হয়েছে। এই বোমাতঙ্কের কারণে যাত্রীসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিভিন্ন বিমান সংস্থার কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিল বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। দেখা গিয়েছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হুমকিবার্তা মিলেছে এক্স পোস্টে। পর পর বোমাতঙ্কের ঘটনায় এ বার ইলন মাস্কের সংস্থার দিকে আঙুল তুলল নরেন্দ্র মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি যুগ্মসচিব সঙ্কেত ভোন্ডবে এক্স এবং মেটার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই এক্স প্রতিনিধিদের ভৎসনা করেছেন তিনি। অভিযোগ, অপরাধে প্ররোচনা দিয়েছে এক্স। সঙ্কেত প্রশ্ন তুলেছেন, বোমা হামলা নিয়ে গুজব ছড়ানোর বিষয়ে কেন পদক্ষেপ নেয়নি এক্স? কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নায়ডু জানিয়েছেন, বিমানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইনে বদল আনতে চলেছে কেন্দ্র। এই ধরনের হুমকিবার্তা পাঠানোয় যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদের জন্য কঠোর পদক্ষেপের সংস্থান থাকবে নতুন আইনে।
এমনকি মন্ত্রী এও জানিয়েছেন যে, এই ঘটনায় মূলচক্রীদের বিমানে ওঠার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। এক্স এবং মেটাকে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। এই ধরণের গুজব ছড়ানো এক ধরণের অপরাধের সমান বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যেভাবে নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকে সেদিক থেকে দেখতে হলে এই ধরণের গুজব বা হুমকি কখনই কাম্য নয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে