ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলি বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করেছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। গতকাল বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে ইসরাইলের সাথে চুক্তিতে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এ বিষয়ে কাতারের রাজধানী দোহায় আলোচনা শুরু হয়েছে। হামাসের কাতারভিত্তিক রাজনৈতিক ব্যুরোর সিনিয়র সদস্য হুসাম বদরান বার্তাসংস্থা শেহাবে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, একটি চুক্তি হওয়া সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে আমাদের দাবিগুলো তো স্পষ্ট এবং সকলেরই জানা। আমরা চুক্তিতে যেতে পারি। তবে শর্ত হলো, নেতানিয়াহু ইতোমধ্যে যেসব বিষয়ে সম্মত হয়েছিলেন, সেসবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে। বদরানের এই বিবৃতি মিসরীয় প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া কিনা, সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। মিসর প্রস্তাব করেছিল যে চার ইসরাইলি বন্দীর বিনিময় গাজায় দু’দিন যুদ্ধবিরতি রাখা হোক।
সউদী আরবভিত্তিক গণমাধ্যম আল-আরাবিয়া এর আগে জানিয়েছিল, হামাস মিসরীয় প্রস্তাব গ্রহণ করতে ইচ্ছুক। তবে বন্দী চুক্তির জন্য তাদের ২ জুলাইয়ের দাবিগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এর অন্যতম দাবি ছিল, ইসরাইলকে এই নিশ্চয়তা দিতে হবে যে তারা একটি ব্যাপক চুক্তির অংশ হিসেবে মিসরীয় প্রস্তাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হামাস সূত্র সউদী চ্যানেল আশর্ক নিউজকেও জানিয়েছে যে তারা টুকরো টুকরো চুক্তির পরিবর্তে একটি ব্যাপক চুক্তি পছন্দ করে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, হামাসের কাছে জিম্মি ইসরাইলিদের বিনিময়ে কয়েকজন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে দুই দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করা হয়েছে। মিসরের প্রেসিডেন্ট গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা করতে কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরাইল ও মিসরীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে রোববার আলোচনা করছেন। সেখানে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এবং ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের পরিচালকরা অংশ নেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলোচনায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন করার ওপর জোর দেওয়া হয়। দুই দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব স্থায়ী বিরতিতে যাওয়ার একটা চেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে। গাজায়, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৪২ হাজার ৯২৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখ ৮৩৩ জন। সেইসঙ্গে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস, জেরুসালেম পোস্ট ও টাইমস অফ ইসরাইল।