সুনির্দিষ্ট কিছু শর্তের অধীনে ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি লেবাননের যোদ্ধাগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। বুধবার এর নতুন নেতা নাইম কাসেম এই বার্তা দিয়েছেন। মঙ্গলবার তাকে এই গ্রুপটির নেতা হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। ইসরাইল যখন তাদের বিভিন্ন অবস্থানে অব্যাহতভাবে বোমা হামলা চালাচ্ছে, তখন তিনি ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার কথা বললেন। অন্যদিকে কয়েক ঘন্টা বা দিনের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতিতে আশাবাদী বলে মন্তব্য করেছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি। আল জাদিদ টেলিভিশনে বক্তব্যে নাজিব মিকাতি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দূত আমোস হোচস্টেইন জানিয়েছেন ৫ই নভেম্বরের আগে কয়েকদিনের মধ্যে আমরা একটি যুদ্ধবিরতিতে যেতে পারবো বলে মনে হচ্ছে।
অন্যদিকে হিজবুল্লাহর প্রধান নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম বক্তব্য দিয়েছেন নাইম কাসেম। তিনি বলেছেন, সামনের মাসগুলোতে ইসরাইলের আকাশ ও স্থল হামলা অব্যাহতভাবে প্রতিরোধ করে যাবে হিজবুল্লাহ। যদি ইসরাইল এক্ষেত্রে প্রস্তাব দেয় তাহলে যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য তার দরজা খোলা। তিনি বলেন, যদি ইসরাইল সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারা আগ্রাসন বন্ধ করতে চায়, আমরা তা মেনে নেবো। তবে তা হতে হবে কিছু শর্তের অধীনে, যা আমরা যথাযথ ও উপযোগী হিসেবে মনে করবো। নাইম কাসেম আরও বলেন, এখনও পর্যন্ত এসব বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য কোনো প্রস্তাব পায়নি হিজবুল্লাহ।
ওদিকে যুদ্ধবিরতির কার্যকর করতে কি প্রস্তাব দেয়া যায় তা নিয়ে আলোচনার জন্য নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করছিলেন ইসরাইলি জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী ইলি কোহেন। তিনি সাবেক গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রী। ইসরাইলি সরকারি একটি রেডিওকে বলেছেন, আলোচনা চলছে। কিছুটা সময় লাগবে বলে মনে হচ্ছে। ইসরাইলের চ্যানেল ১২-এর মতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার দিনের শেষের দিকে মন্ত্রীদের নিয়ে মিটিং করেছেন। তাতে ৬০ দিন বা দুই মাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে যেসব শর্ত দেয়া হয়েছে তার মধ্যে লিতানি নদীর উত্তর থেকে হিজবুল্লাহকে প্রত্যাহার করতে হবে। সীমান্তে মোতায়েন থাকবে লেবাননের সেনাবাহিনী। যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ বিষয়ক মেকানিজম প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কিন্তু ইসরাইল একটি নিশ্চয়তা চায়। তা হলো, হুমকি পাওয়ার প্রেক্ষিতে তারা ব্যবস্থা নেয়ার স্বাধীনতা পাবে।