বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ভোলায় চারটি এবং ২০২৮ সালের মধ্যে আরও ১৪টি গ্যাসকূপ খননসহ মোট ১৮টি কূপ খনন করা হবে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ভোলার ইলিশা-১ গ্যাসক্ষেত্র পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, সারা দেশে এ মুহূর্তে গ্যাসের তীব্র সংকট, তাই এ মুহূর্তে আপাতত আবাসিক লাইনে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তবে ভোলায় যেহেতু সম্ভবনা রয়েছে। এখানে শিল্পায়ন এবং ইকনোমিক জোন করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বড় ধরনের গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার ছাড়া এ মুহূর্তে ভোলা কেন, বাংলাদেশের কোথাও আবাসিক খাতে গ্যাস–সংযোগ দেওয়া সম্ভব না।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে আরও ৫টিসহ ২০২৮ সালের মধ্যে ভোলায় আরও ১৯টি গ্যাসকূপ খনন করা হবে। তখন বড় মজুতের কূপ আবিষ্কার হলে ভোলার মানুষের দাবির বাস্তবায়ন হবে বলে উপদেষ্টা আশ্বাস প্রদান করেন।
এদিকে, ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে পর্যাপ্ত গ্যাসের সুবিধা পায়নি ভোলার মানুষ। যার ফলে এখনও শিল্পায়ন থেকে অনেকটা পিছিয়ে এ জেলা।
ভোলাবাসীর দাবি, অতিদ্রুত ভোলার গ্যাসকে কাজে লাগিয়ে শিল্পায়ন করা হোক। এতে একদিকে যেমন ভোলার উন্নয়ন হবে, অন্যদিকে সারাদেশে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে এ জেলা।এতে সারা দেশের মতো ভোলাতেও উন্নয়ন হবে। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান হবে। একটি সমৃদ্ধ জেলায় পরিণত হবে ভোলা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, চেয়ারম্যান, পেট্রোবাংলা, অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) জনাব এসএম মঈন আহম্মেদ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাপেক্স এবং উপদেষ্টার একান্ত সচিব জনাব মুহাম্মদ হাসনাত মোর্শেদ ভুঁইয়া, ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান সহ কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ১৯৯২-৯৩ সালে ভোলার বোরহানউদ্দিনের শাহবাজপুর গ্রামে প্রথম গ্যাসের সন্ধান মেলে। এরপর পর্যায়ক্রমে এ জেলায় তিনটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হয়।