বাংলাদেশের রফতানির সবচেয়ে বড় একক বাজার যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবছর মোটামুটি ১০ বিলিয়ন বা এক হাজার কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এই রফতানির বেশির ভাগই তৈরি পোশাক। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার হিস্যার ৯ শতাংশ দখলে নিয়ে বাংলাদেশ তৃতীয় সর্বোচ্চ পোশাক রফতানিকারক দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি পোশাক রফতানি করে চীন আর ভিয়েতনাম। ট্রাম্প সরকার যদি তার ট্যারিফ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন, তবে তা বাংলাদেশের জন্য সুবিধাজনক হতে পারে। চীনের ওপর অতিরিক্ত ট্যারিফ বসানো হলে চীন তখন বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে বেছে নিবে পণ্য উৎপাদনের জন্য।
চীন বিশ্বের অন্যতম বড় রফতানিকারক দেশ। ট্রাম্প যদি তার কথামতো চীনের ওপর বড় হারে শুল্ক আরোপ করেন, তাহলে তা বাংলাদেশসহ আরও অনেক দেশের জন্য সুযোগ বয়ে আনতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে চীনের বিশাল বাজার ধরতে পারবে এসব দেশ। কারণ, এসব দেশকে তুলনামূলক কম শুল্ক দিতে হবে। অন্যদিকে, ট্রাম্প যদি তার বিশেষ কোনো বন্ধুরাষ্ট্রকে আবার শুল্ক সুবিধা দেন, তাহলে তা বাংলাদেশের জন্য চিন্তার কারণ হতে পারে ।
যদি চীনা পণ্যের ওপর ট্রাম্পের শুল্ক পরিকল্পনা কার্যকর করা হয়, তাহলে অনেক মার্কিন পোশাক খুচরা বিক্রেতা এবং ব্র্যান্ড পোশাক পণ্যের সোর্সিং স্থানান্তর করার চেষ্টা করবেন। এটি অন্যান্য দেশ ও একটি বড় সরবরাহকারী হিসেবে বাংলাদেশের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গাজায় বর্বরোচিত গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৩৯১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি। ইসরাইলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পুরো উপত্যকা।
দি মার্কার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইলের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং দক্ষিণ লেবাননে সে যুদ্ধের বিস্তারের ফলে পরস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে দিয়েছেন বিজয় ভাষণ। যেখানে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ বন্ধে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।
ট্রাম্প তার বিজয় ভাষণে বলেছেন, আমি যুদ্ধ শুরু নয়, সব যুদ্ধ বন্ধ করতে যাচ্ছি।
ভাষণে বিশ্বের কোথায় কোথায় যুদ্ধ থামাতে সচেষ্টা হবেন, তা স্পষ্ট করে না বললেও –ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের যুদ্ধ প্রসঙ্গে হয়তো তিনি একথা বলেছেন। তবে আশঙ্কার কারণ রয়েছে ইউক্রেনের জন্য।
বিজয় ভাষণে ট্রাম্প বলেন, আমি যুদ্ধ শুরু করব না, আমি যুদ্ধ থামাব। এসময় তার প্রথম মেয়াদের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, আমাদের কোনো যুদ্ধ ছিল না, চার বছর আমরা কোনো যুদ্ধে জড়াইনি। কেবল আইএসআইএসকে পরাজিত করেছি।
বুধবার ফ্লোরিডার ওয়েন্ট পাম বিচে উচ্ছ্বসিত জনতার সামনে বিজয় ভাষণ দেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি বলেন, আমার এ বিজয়ের জন্য সকলের সমর্থন পেয়েছি। তাদের মধ্যে রয়েছেন আফ্রিকান-আমেরিকান, হিস্পানিক-আমেরিকান, এশিয়ান-আমেরিকান, আরব-আমেরিকান ও মুসলিম-আমেরিকান। এটি খুবই আনন্দের এবং ঐতিহাসিক ঘটনা।
এর আগে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, বিশ্বে চলমান সব যুদ্ধ বন্ধ করে দেবেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো যুদ্ধ ছিল না। আইএসআইএসকে পরাজিত করা ছাড়া চার বছর ধরে আমাদের কোনো যুদ্ধ হয়নি। তারা (ডেমোক্র্যাট) বলেছিল আমি নাকি একটি যুদ্ধ শুরু করব। আমি যুদ্ধ শুরু করতে যাচ্ছি না, আমি যুদ্ধ বন্ধ করতে যাচ্ছি।’ নির্বাচনী বিতর্কে ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি এই যুদ্ধটি শেষ করা এবং এটি সম্পন্ন করা, একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা আমেরিকার সর্বোত্তম স্বার্থ।’
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যে মুসলিম সমর্থকদের প্রশংসা করেছেন রিপাবলিকার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, গাজা যুদ্ধ বন্ধে বাইডেন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ নিয়ে যেসব মুসলিম ভোটার ক্ষুব্ধ তারা মিশিগানে তাকে জয়ী করতে পারেন। তিনি মুসলিম সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, তারা শান্তি চায়, তারা যুদ্ধে থাকতে চায় না। তারা অনেক স্মার্ট।