যুক্তরাষ্ট্র গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধ থামানোর লক্ষ্যে আবারও আন্তর্জাতিক পদক্ষেপকে অবরুদ্ধ করার জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছে বাইডেন প্রশাসন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি চেয়ে প্রস্তাব পেশ করে ১০টি দেশ। চলতি বছরের শুরুতেই নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদ পেয়েছিল আলজেরিয়া, সিয়েরা লিওন, মোজাম্বিক, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, স্লোভেনিয়া, গুয়ানা, ইকুয়েডর, মালটা এবং সুইজারল্যান্ড। বুধবার তারাই প্রস্তাব আনে, গাজায় ‘অবিলম্বে, নিঃশর্ত, স্থায়ী’ যুদ্ধবিরতি চাই। আলাদা করে দাবি জানানো হয়, দ্রুত মুক্তি দিতে হবে পণবন্দিদের। শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র -এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। একটি স্থায়ী কাউন্সিল সদস্য হিসাবে তার ভেটো ব্যবহার করে রেজুলেশনটি ব্লক করেছে।
জাতিসংঘে ডেপুটি ইউএস অ্যাম্বাসেডর রবার্ট উড বলেছেন, ওয়াশিংটন স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে, যে এটি শুধুমাত্র সেই রেজোলিউশনকে সমর্থন করবে যা স্পষ্টভাবে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে জিম্মিদের অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানায়। যুদ্ধের একটি টেকসই সমাপ্তি জিম্মিদের মুক্তির মাধ্যমে আসতে হবে। এই দুটি জরুরি লক্ষ্য অবিচ্ছেদ্যভাবে সংযুক্ত। এই রেজোলিউশনটিতে সে কথা বলা নেই। তাই যুক্তরাষ্ট্র এটিকে সমর্থন করতে পারেনি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস নেতৃত্বাধীন যোদ্ধারা ইসরায়েলে আক্রমণ করে। এতে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করা হয়। এর জবাবে ইসরায়েল গাজায় ১৩ মাস ধরে সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে। এই আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। পুরো উপত্যকার প্রায় সব বাসিন্দাকে অন্তত একবার স্থানচ্যুত হতে বাধ্য করেছে। কাউন্সিলের বাকি ১০ নির্বাচিত নির্বাচিত সদস্য প্রস্তাবটি অবরুদ্ধ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছে ।
মাল্টার জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত ভেনেসা ফ্রেজিয়ার বলেছেন,’ভেটো ব্যবহারের কারণে এই কাউন্সিল আবারও আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে যা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যিনি ২০ জানুয়ারী অফিস ত্যাগ করবেন, তিনি ইসরায়েলকে শক্তিশালী কূটনৈতিক সমর্থনের প্রস্তাব দিয়েছেন এবং যুদ্ধের জন্য অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছেন।