কিডনিতে পাথর আজকাল প্রায় কমন একটি অসুখে পরিণত হয়েছে, বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এই রোগের পরিমাণ ব্যাপকভাবে অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের অভ্যস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা দেয়। তবে আশঙ্কাজনক হারে এই অসুখ বা ক্রনিক ডিজিজ মাঝ বয়সী, তরুণ তরুণীদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনলে এবং নিন মুক্ত খাবার গুলো পরিহার করে চলতে পারলে কিডনিতে পাথরের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
১ প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে কমপক্ষে ১০ গ্লাস অথবা বেশি, পানি সর্বোত্তম চিকিৎসা।
২ পানির পরিমাণ এতোটুকু খেতে হবে যাতে আড়াই লিটারের মতো প্রস্রাব নিঃসরণ হয়।
৩ ডিহাইড্রেশন অথবা পানি শূন্যতা কখনোই হতে দেয়া যাবে না।
৪ প্রতিদিন অন্ততপক্ষে এক থেকে দেড় ঘন্টা ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ, হাঁটাচলা করতেই হবে।
৫ যেকোনো মূল্যে খাদ্যের সাথে অতিরিক্ত লবণ পরিহারযোগ্য। কাঁচা লবণ কখনোই নয়।
৬ প্রোটিন যুক্ত খাবার একেবারেই কম খাবেন। (রেড মিট) গরুর/ খাসির/ হাঁসের গোশত সবসময় পরিহারযোগ্য। ডালের পরিমাণ একেবারেই পরিমিত।
৭ নিম্ন প্রদত্ত খাবারগুলো কম পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে যা নতুন করে পাথরের সম্ভাবনা কে বাড়ায়:
ক. ব্ল্যাকবেরী, রাস্প বেরী, স্ট্রবেরি, পাম ফ্রুট
খ. পুঁইশাক
গ. ঢেঁড়স
ঘ. ধনিয়া পাতা
উ. পেঁয়াজ
চ. মিষ্টি আলু/ আলু
ছ. কচু পাতা/ ওল কচু/ মান কচু/ গাঁটি
জ. সব ধরনের বাদাম, সব ধরনের বিচি, চকলেট, কোকোয়া পাউডার , সয়া সস, ওয়েস্টার সস।
ঝ. (অর্গান মিট) অর্থাৎ কলিজা, গুরদা, ফেশকা, মগজ জাতীয় খাবার অবশ্যই পরিহারযোগ্য। (শেলফিশ) বড় চিংড়ি/ গুড়া চিংড়ি/ লবস্টার/ কাকড়া, কোকাকোলা জাতীয় সফট ড্রিংকস পরিহারযোগ্য। অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়। ফাস্টফুড জাতীয় খাবার, অতিরিক্ত তৈলাক্ত/ গ্রীসী ফুড সকল অবস্থায় পরিহারযোগ্য।