ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলি সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এটি পশ্চিমা গণতন্ত্রের আদলে তৈরি কোনো দেশের নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রথম ঘটনা।
আইসিসি বলছে, ক্ষুধাকে ব্যবহার করে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্য এই দুইজনকে দায়ী করার যৌক্তিক ভিত্তি রয়েছে।
সেইসঙ্গে আইসিসি বলেছে, দুইজনের প্রত্যেকের অন্যদের সঙ্গে মিলে যৌথভাবে সহ-অপরাধী হিসেবে নিম্নলিখিত অপরাধের জন্য ফৌজদারি দায়বদ্ধতা রয়েছে: যুদ্ধের পদ্ধতি হিসেবে ক্ষুধার ব্যবহার এবং হত্যা, নিপীড়ন এবং অন্যান্য অমানবিক কাজের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন।
তবে আন্তর্জাতিক আদালতের এই পদক্ষেপকে ইহুদিবিদ্বেষী বলে মন্তব্য করেছেন নেতানিয়াহু। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘মিথ্যা’ উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যানও করেন তিনি।
নেতানিয়াহু দাবি করেন, গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামলার জবাবেই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেশটি।
নেতানিয়াহু বলেন, আইসিসি ইহুদি রাষ্ট্রের ক্ষতি করতে চায় আর ইহুদিবিদ্বেষী এই পদক্ষেপ নেওয়াই হয়েছে আমাদের ধ্বংস করতে উদ্যত শত্রুদের বিরুদ্ধে আমার এবং আমাদের আত্মরক্ষার স্বাভাবিক অধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত রাখতে এবং বাধা দিতে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছাড়াও হামাসের সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। যদিও গত জুলাইয়ে তাদের এক বিমান হামলায় দেইফের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছিল ইসরায়েল। তবে হামাস আজও এই তথ্য নিশ্চিত করেনি।
নেতানিয়াহু, গ্যালান্ট এবং দেইফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০২ সালে। নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত এই আন্তর্জাতিক আদালতের উদ্দেশ্য ছিল, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের মতো নৃশংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনা।
তবে এটি জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) থেকে আলাদা।
আইসিসির নিজস্ব কোনো পুলিশ বাহিনী নেই। ফলে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য তারা তাদের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর উপর নির্ভর করে। এই আদালত প্রতিষ্ঠার জন্য মোট ১২৪টি দেশ ‘রোম স্ট্যাটিউট’ নামে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
এর মধ্যে ৩৩টি আফ্রিকান, ১৯টি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয়, ১৯টি পূর্ব-ইউরোপীয়, ২৮টি ল্যাটিন অ্যামেরিকান এবং ক্যারিবীয় এবং ২৫টি পশ্চিম ইউরোপীয় ও অন্যান্য রাষ্ট্র রয়েছে।
তবে এটিকে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন এবং ইসরায়েল।
ইসরায়েল আইসিসির সদস্য দেশ না হওয়ায় এর ওপর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কোনো এখতিয়ার নেই বলে দাবি করে দেশটি। তবে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঘোষণা করার সময় আইসিসি জানায় যে এর সদস্য রাষ্ট্র “ফিলিস্তিনের আঞ্চলিক বিচারিক এখতিয়ারের ভিত্তিতে” ইসরায়েলের ওপর বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে।
যদিও কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া আইসিসি সাধারণত অনুপস্থিত আসামিদের বিচার করে না।
যার অর্থ দাঁড়ায়, সম্ভবত নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্ট আইসিসির কোনো সদস্য রাষ্ট্রে ভ্রমণ করা বা গ্রেপ্তার না হওয়া কিংবা দুজনকে হেগে না আনা পর্যন্ত তাদের বিচারের মুখোমুখি হবার সম্ভাবনা নেই।
ফলে পরোয়ানা জারি হলেও নেতানিয়াহু কিংবা গ্যালান্টকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তারের মুখোমুখি হতে হবে না। তবে এরপর থেকে তাদের জন্য যেকোনো দেশে ভ্রমণ করা জটিল হবে, একইসঙ্গে এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইসরায়েলকে আরও বিচ্ছিন্ন করার হুমকি তৈরি হলো।
যুক্তরাজ্যের ইঙ্গিত: নেতানিয়াহু যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করলে তাকে গ্রেপ্তারের মুখোমুখি হতে হবে
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করলে তাকে গ্রেপ্তারের মুখোমুখি হতে হবে। এমনি ইঙ্গিত দিলো ডাউনিং স্ট্রিট । একজন মুখপাত্র সুনির্দিষ্ট মামলার বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন , তবে বলেছেন যে সরকার তার আইনি বাধ্যবাধকতা পূরণ করবে।বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু সহ ইসরায়েলের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। যুক্তরাজ্য সহ আদালতের সদস্য দেশগুলি একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যা তাদের এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করে।নেতানিয়াহু যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করলে তাকে আটক করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র কোনো অনুমানের ভিত্তিতে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেছেন : “সরকার তার আইনি বাধ্যবাধকতা পূরণ করবে। ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইন ২০০১’ মোতাবেক আদালত যদি গ্রেপ্তারের জন্য কোনো পরোয়ানা জারি করে, তাহলে একজন মনোনীত মন্ত্রী অনুরোধটি প্রেরণ করবেন… একজন উপযুক্ত বিচারিক কর্মকর্তার কাছে। তিনি সন্তুষ্ট হলে আইসিসি কর্তৃক জারি করা পরোয়ানা যুক্তরাজ্য অনুমোদন করবে”।
প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে সরকার আইনে বর্ণিত প্রক্রিয়া মেনে চলবে এবং সর্বদা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনি বাধ্যবাধকতা মেনে চলবে”। যদিও ওই মুখপাত্র নিশ্চিত করে বলতে পারেননি রাষ্ট্রের কোন সেক্রেটারি এই প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকবেন। এই মামলার বিষয়ে সরকার যুক্তরাজ্যের শীর্ষ আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল লর্ড হারমারের কাছ থেকে আইনি পরামর্শ চাইছেন কিনা সে সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দেননি। দেশের প্রধানমন্ত্রী এখনও নেতানিয়াহুর সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক কিনা জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেছেন যে ‘ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইসরায়েল আমাদের মূল অংশীদার। তাই আমাদের ইসরায়েলের সাথে সমস্ত স্তরে সংলাপ চালিয়ে যাওয়া উচিত।’গত মাসে লর্ড হারমার বিবিসিকে বলেছিলেন যে আইসিসি যদি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে তবে তিনি রাজনৈতিক বিবেচনাকে তার সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে দেবেন না।
হারমার বলেছিলেন – ” নেতানিয়াহুর জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সম্পর্কে আইন মেনে পদক্ষেপ নেয়া হবে। একটি সরকার কি করবে তা নির্দেশ করা অ্যাটর্নির কাজ নয়। আইনের কী প্রয়োজন, আইনের বিষয়বস্তু কী এবং আইন আপনাকে কোথায় নিয়ে যায় সেই বিষয়ে নির্ভীক আইনি পরামর্শ দেওয়াই অ্যাটর্নির কাজ। এবং এটাই আমি করতে যাচ্ছি।’ বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরে, ডাউনিং স্ট্রিট বলেছে যে যুক্তরাজ্য সরকার আইসিসির স্বাধীনতাকে সম্মান করে। গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য জোর দেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। আদালত হামাসের সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফের জন্যও একটি পরোয়ানা জারি করেছে। যাকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামলার সাথে সম্পর্কিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে হত্যা করা হয়।
গ্রেফতারি পরোয়ানার প্রভাব নির্ভর করবে আদালতের ১২৪ টি সদস্য রাষ্ট্র – যার মধ্যে ইসরায়েল বা তার মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্ভুক্ত নয় – সেটি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয় কি না
যুক্তরাজ্যের ছায়া পররাষ্ট্র সচিব ডেম প্রীতি প্যাটেল গাজায় ইসরায়েলের পদক্ষেপকে ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলার সাথে সমতুল্য করে দেখার জন্য আইসিসির সমালোচনা করেছেন।তিনি যুক্তরাজ্য সরকারকে আদালতের সিদ্ধান্তকে “নিন্দা ও চ্যালেঞ্জ” করার আহ্বান জানিয়েছিলেন, এটিকে “উদ্বেগজনক এবং উসকানিমূলক” হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ক্ষমতায় জয়ী হওয়ার পর, নতুন লেবার সরকার আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার অধিকারকে চ্যালেঞ্জ করা সংক্রান্ত পূর্বসূরির পরিকল্পনা বাতিল করে বলেছিল যে এটি বিচারকদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়। গ্রেফতারি পরোয়ানার প্রভাব নির্ভর করবে আদালতের ১২৪ টি সদস্য রাষ্ট্র – যার মধ্যে ইসরায়েল বা তার মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্ভুক্ত নয় – সেটি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয় কি না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাকে ‘আপত্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন, বলেছেন ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে তুলনা টানা অযৌক্তিক। তবে, বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের কর্মকর্তারা আদালতের পাশে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছেন এবং বলেছেন যে তারা আদালতের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে । ইসরায়েল এবং হামাস উভয়ই আইসিসির করা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে, নেতানিয়াহু এই পরোয়ানাটিকে “বিদ্বেষপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছে।
আন্তর্জাতিক আদালতের পরোয়ানা আমাকে রুখতে পারবে না: নেতানিয়াহু
গাজা যুদ্ধ পরিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কর্তৃক ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে জারি হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তার গ্রেপ্তারি নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন তিনি। বললেন, এই পরোয়ানা তাকে ইসরায়েলকে রক্ষা করা থেকে রুখতে পারবে না। নেতানিয়াহু একটি ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইসরায়েল-বিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত আমাদেরকে বাধা দিতে পারবে না, আমরা আমাদের দেশকে সব উপায়ে রক্ষা করবো। আমরা চাপের কাছে নতি স্বীকার করব না।’
গাজায় ৪৪,০৫৬ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক
গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও তার সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ এবং ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’-এর দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি আদালতের সিদ্ধান্তকে ‘জাতির ইতিহাসে একটি অন্ধকার দিন’ বলে বর্ণনা করেছেন। নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘দ্য হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, যা মানবতা রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, আজ মানবতার শত্রুতে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’। হামাসের হামলার পর ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ করছে। হামাস পরিচালিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে এর প্রতিশোধমূলক অভিযানে ইসরায়েলের হাতে গাজায় ৪৪,০৫৬ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক। জাতিসংঘের সংস্থাগুলো খাদ্য ও ওষুধের অভাবের কারণে সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষসহ গাজায় মারাত্মক মানবিক সংকটের বিষয়ে সতর্ক করেছে।
আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে যে, নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্ট যুদ্ধাপরাধের পাশাপাশি হত্যা, নিপীড়ন এবং অন্যান্য মানবতা বিরোধী অপরাধে দায়ী। যদিও নেতানিয়াহু বলেছেন যে, ‘বিশ্বজুড়ে আরও অনেকের বিরুদ্ধে সংঘটিত প্রকৃত যুদ্ধাপরাধকে উপেক্ষা করে। আদালত ইসরায়েলকে কেবল ‘কাল্পনিক অপরাধ’ করার জন্য অভিযুক্ত করছে।’
নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্ট ছাড়াও, আদালত হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, যিনি গত জুলাইয়ে একটি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বলে ইসরায়েল দাবি করেছিল। হামাস তার মৃত্যু নিশ্চিত করেনি।