• ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

স্বজনদের গলা নকল করে কল করছে এআই : প্রতারণার নতুন ফাঁদ

usbnews
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩
স্বজনদের গলা নকল করে কল করছে এআই : প্রতারণার নতুন ফাঁদ
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

প্রতিদিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগোচ্ছে বিজ্ঞান, এগোচ্ছে প্রযুক্তি। রাত পোহালেই বদলে যাচ্ছে সবকিছু। উন্নতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যে বিপদ এগিয়ে আসছে, সেটিও এড়িয়ে যাওয়ার মতো নয়। ২০২৩ সালেও তেমন কিছু নিদর্শন দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) যে কীভাবে অভিশাপ হয়ে উঠছে, সেটিও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

হোয়াটসঅ্যাপে ফাঁদ পেতেছে প্রতারকরা। অনেকেই হোয়াটসঅ্যাপে ফোন পাচ্ছেন, যেখানে ব্যক্তিগত তথ্য জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। এভাবেই চুরি হয়ে যাচ্ছে অনেক স্পর্শকাতর তথ্য। কিউআর কোড বিষয়টাকে নিরাপদ বলে মনে করা হত। কিন্তু তাতেও বিপদ কম নেই। কিউআর কোডের জায়গায় এমন কোড বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে ক্রেতাদের কাছে খুলে যায় কোনো অন্য সাইট, সেখানে টাকা কেটে নিলেই বিপদ। ২০২৩ সালে এটাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।

বেকারত্ব যেভাবে বাড়ছে, তার সুযোগ নিয়ে চলছে প্রতারণা। চাকরি দেওয়ার নাম করে নানা ধরনের ফাঁদ পাতা হচ্ছে, তাতে পা দিলেই বিপদ। আর এ বছরে এই বিপদে পড়েছেন বহু মানুষ।ধরুন কেউ আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি ইউটিউবের লিংক দিয়েছে, তার মাধ্যমে টাকা রোজগারের কথা বলা হয়েছে, তাতেও ভুল করলে চলবে না। হতে পারে বিপদ। টাকা চলে যেতে পারে প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে।

মানুষ নয়, ফোন করবে এআই কলার। তারপর ব্যক্তিগত তথ্য হাতানোর চেষ্টা হবে। এমন প্রতারণার উপায়ও সামনে এসেছে। অবিকল আপনার কোনো আত্মীয় বা বন্ধুর গলায় ফোন করছে এআই। তারপর জরুরি প্রয়োজন বলে টাকা ট্রান্সফার করতে বলছে। এভাবেও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকে। তাই প্রতারণা এড়াতে খুব সাবধান হতে হবে।

 

চ্যাটজিপিটি বাজারে আসার পর থেকে এটি অনেক উদ্বেগ তৈরি করেছে। কিছু মানুষ মনে করে যে চ্যাটজিপিটি এতটাই শক্তিশালী যে এটি মানুষের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তারা উদ্বিগ্ন যে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে ভুল তথ্য ছড়ানো যেতে পারে, বা এটি ব্যবহার করে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) একটি বিপজ্জনক প্রযুক্তিও হতে পারে। এআই-এর বিপজ্জনক হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে কারণ এটি খুব শক্তিশালী এবং এটি মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

এআই-এর বিপজ্জনক হয়ে ওঠার কিছু সম্ভাব্য উপায় এখানে দেওয়া হল:

  • এআই ব্যবহার করে অস্ত্র তৈরি করা যেতে পারে যা মানুষের দ্বারা তৈরি অস্ত্রের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।
  • এআই ব্যবহার করে এমন সিস্টেম তৈরি করা যেতে পারে যা মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
  • এআই ব্যবহার করে এমন সিস্টেম তৈরি করা যেতে পারে যা মানুষকে ক্ষতি করতে পারে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে খুঁজে পাওয়া যায়। ক্ষেত্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৫৬   সালে ডার্টমাউথ সম্মেলনের সময় তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে “চিন্তা মেশিন” ধারণাটি চালু করা হয়েছিল।

অ্যালান টুরিং এবং জন ম্যাকার্থির মতো প্রাথমিক অগ্রগামীরা এআই গবেষণার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। টুরিং টেস্টে টিউরিংয়ের কাজ, যা একটি মেশিনের বুদ্ধিমান আচরণ প্রদর্শন করার ক্ষমতাকে মূল্যায়ন করে যা একজন মানুষের থেকে আলাদা নয়, এটি একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক ছিল।

যদিও AI-এর একক প্রতিষ্ঠাতা নেই, ক্ষেত্রটি অসংখ্য প্রভাবশালী ব্যক্তি দ্বারা তৈরি হয়েছে। জন ম্যাকার্থিকে প্রায়শই শব্দটি তৈরি করার জন্য এবং ডার্টমাউথ সম্মেলন আয়োজনের জন্য “এআই-এর জনক” হিসাবে বিবেচনা করা হয়। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য অবদানকারীদের মধ্যে রয়েছে মারভিন মিনস্কি, অ্যালেন নেয়েল এবং হার্বার্ট এ. সাইমন, যারা রোবোটিক্স এবং সমস্যা সমাধানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছেন।

প্রযুক্তি, প্রকৃতি ও ভূরাজনীতি – এই তিন ক্ষেত্রে দুনিয়া জুড়ে যে ঝড় তুফান চলছে, তারমধ্যে প্রযুক্তিতে পরিবর্তনের অন্যতম হাতিয়ার হলো এআই।