• ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

নিজ্জর-হত্যায় : ৪ ভারতীয়ের বিচার শুরু

usbnews
প্রকাশিত নভেম্বর ২৫, ২০২৪
নিজ্জর-হত্যায় : ৪ ভারতীয়ের বিচার শুরু
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

খালিস্তানপন্থী হরদীপ সিংহ নিজ্জরকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত চার ভারতীয়ের ‘সরাসরি বিচার’প্রক্রিয়া শুরু করেছে কানাডা। প্রাদেশিক আদালতের পরিবর্তে এবার বিচার হবে ব্রিটিশ কলম্বিয়া শীর্ষ আদালতে।

‘সরাসরি বিচার’-এর অর্থ হলো, অভিযুক্তদের বিচারের আগে কোনো ধরনের প্রাথমিক তদন্ত করা হবে না। তার পরিবর্তে সরাসরি বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রাদেশিক আদালতের পরিবর্তে এবার ব্রিটিশ কলম্বিয়া শীর্ষ আদালতে ওই মামলার বিচার হবে বলে সরকারি সূত্রে খবর। গত ১৮ নভেম্বর ওই মামলায় প্রথম হাজিরা ছিল। ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির করানো হয়েছিল নিজ্জর-হত্যায় মূল অভিযুক্তদের। ২০২৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় পরবর্তী হাজিরা রয়েছে। এর পরেই শুনানির দিনক্ষণ নির্ধারিত হবে।

নিজ্জর-হত্যায় অভিযুক্তেরা সকলেই ভারতীয় কিংবা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তাদের নাম করণ ব্রার, কমলপ্রীত সিংহ, করণপ্রীত সিংহ এবং আমনদীপ সিংহ। আপাতত তারা সকলেই হেফাজতে রয়েছেন। চলতি বছরে একাধিকবার প্রাদেশিক আদালতে হাজির করানো হয়েছে তাদের। তাদের বিরুদ্ধে খুন এবং খুনের পরিকল্পনার মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

খালিস্তানি নেতা নিজ্জরকে ২০২০ সালে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে ঘোষণা করেছিল ভারত। তার তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারের একটি গুরুদ্বারের সামনে তাকে হত্যা করা হয়। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের ‘ভূমিকা’ রয়েছে বলে অভিযোগ তোলে ট্রুডো সরকার। তারপর থেকেই ভারত-কানাডা সম্পর্কে চিড় ধরে। ট্রুডোর ওই অভিযোগের পর, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কানাডাকে পাল্টা দোষারোপ করেন ভারত ভাগ করতে চাওয়া খালিস্তানপন্থীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য। এর মাঝে নিজ্জর খুনে জড়িত সন্দেহে কয়েকজন ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে গ্রেফতার করে কানাডা পুলিশের ইন্টিগ্রেটেড হোমিসাইড ইনভেস্টিগেশন টিম (আইএইচআইটি)।

গত মাসে নিজ্জর-হত্যাকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভারত-কানাডা সম্পর্ক। গত ১৩ অক্টোবর কানাডা সরকারের তরফে একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয়, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে যাদের স্বার্থ জড়িত, সেই তালিকায় কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয়কুমার বর্মা রয়েছেন। এর পরেই সঞ্জয়সহ কয়েকজন কূটনীতিককে দেশে ফিরিয়ে আনে ভারত। পাশাপাশি, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে বহিষ্কার করে কানাডার কয়েকজন কূটনীতিককে। সেইসাথে নরেন্দ্র মোদি সরকারের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, কানাডার আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচনে কট্টরপন্থী খালিস্তানি গোষ্ঠীগুলোর সমর্থন পাওয়ার জন্য ট্রুডো সরকার নতুন করে নিজ্জর বিতর্ক সামনে নিয়ে আসছে।