• ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

পটুয়াখালী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতভর র‌্যাগিংয়ে হাসপাতালে ৩ শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৭

usbnews
প্রকাশিত নভেম্বর ২৫, ২০২৪
পটুয়াখালী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে  রাতভর র‌্যাগিংয়ে হাসপাতালে ৩ শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৭
নিউজটি শেয়ার করুনঃ

র‍্যাগিংয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বনের ঘোষণা দিলেও রাতভর র‍্যাগিংয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) তিন শিক্ষার্থীকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

র‍্যাগিংয়ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এম. কেরামত আলী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সহকারী প্রক্টর মো: আব্দুর রহিম। তারা গণরুমে ঢুকে র‍্যাগিং দেয়ার সাথে জড়িত দু’জনকে হাতেনাতে ধরেন। পরে ক্যান্টিনে গিয়ে চারজনকে র‍্যাগিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় ২০২২-২৩ সেশনের সাত শিক্ষার্থী জড়িত বলে নিশ্চিত করেছে পবিপ্রবি প্রশাসন।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. কেরামত আলী হলে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাৎক্ষণিকভাবে সাত শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত হিসেবে শনাক্ত করে তাদের হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এম. কেরামত আলী হলে অবস্থানরত স্নাতক প্রথম বর্ষের (২০২৩-২৪ সেশন) বেশিভাগ শিক্ষার্থীই র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়। র‍্যাগিং চলাকালীন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিন শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। অমানবিক নির্যাতনের কারণে অনেকেই রাতে ঘুমাতে পারেনি।

২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থীরা জানান, ‘আনুমানিক রাত ১২টায় সিনিয়ররা গণরুমে এসে আমাদের সকলের ফোন জমা নিয়ে টেবিলে রেখে দেন। আমাদেরকে কান ধরে উঠ-বস করতে বাধ্য করেন এবং গালি দেন তারা। বিভিন্ন নিয়ম বলেন। গণরুমে সিগারেটের ধোয়ায় বাজে পরিবেশ সৃষ্টি করেন। এছাড়াও আমাদের জানালায় ঝুলানো থেকে শুরু করে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন।’

প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান বলেন, ‘এ পরিস্থিতি একেবারেই কাম্য নয়। উক্ত ঘটনার সাথে যে বা যারা যুক্ত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি এমন পরিস্থিতি যেন পরবর্তীতে আর না ঘটে সে জন্য পবিপ্রবি প্রশাসন আরো তৎপর হবে।’

রোববার অসুস্থ শিক্ষার্থীদের দেখতে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান ভিসি প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘আমরা অভিযুক্ত সাত শিক্ষার্থীকে র‍্যাগিংয়ের দায়ে আজই হল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের সাথে সভা ইতোমধ্যে করা হয়েছে। তাদের সুপারিশক্রমে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে র‍্যাগিংকারীদের অধিকতর শাস্তির আওতায় আনা হবে।’