“যুদ্ধাপরাধের” জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের আদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসির কাছে আবেদন করলো ইসরাইল। তেল আবিবের অনুরোধ, আপিলের ফলাফল না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যাতে স্থগিত রাখা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর এবং সে দেশের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনেছে। হামাসের সামরিক প্রধান মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও একই ধরনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আদালতে আপিলের পর জারি করা এক বিবৃতিতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে, “ইসরাইল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে। যদি এই পরোয়ানা প্রত্যাখ্যান না করা হয় তাহলে তাঁরা বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ দেখাতেও পিছু হটবে না! সেইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, আমেরিকা সহ বিশ্বের বাকি বন্ধু দেশকে তাঁরা জানাবে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কতটা পক্ষপাত করে এবং তাঁরা কী পরিমাণ ইসরাইল বিরোধী! নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর ইসরাইলের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা, ফ্রান্স। তাঁরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছে।
অপরদিকে বৃটেন এবং কানাডার মতো দেশ চায় নেতানিয়াহুকে গ্রেফতার করা হোক। প্রসঙ্গত, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, তিনি ‘যুদ্ধাপরাধ’ করছেন। নৈতিকতার সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করে খুন, মৃত্যুদণ্ড দেওয়া, মানুষের ওপর নারকীয় অত্যাচার, মানুষকে ক্ষুধার্ত রাখার মতো অপরাধ করেছেন তিনি। গত ৮ অক্টোবর ২০২৩ থেকে ২০ মে ২০২৪ পর্যন্ত যে রিপোর্ট আদালত হাতে পেয়েছে তার ভিত্তিতেই এই পর্যবেক্ষণ আদালতের। রায়ের পর, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু হেগের বিশ্ব আদালতকে “ইহুদি বিরোধী” বলে অভিযুক্ত করেন এবং ইসরাইল যে পিছু হবে না তা স্পষ্ট করে দেন।