ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হেরে কিছুটা চাপে ছিল ভারত। বুধবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্রিসবেন টেস্ট ড্র হওয়ায় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পথ আরেকটু কঠিন হয়েছে ভারতের। ফাইনালের লড়াইয়ে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের জন্য ফাইনালের লড়াইটা মোটামুটি অসম্ভব। তাই আগামী বছরের ১১ই জুন লর্ডসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে এগিয়ে রাখা যায় দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া আর ভারতকে। ৯ দলের এই প্রতিযোগিতায় সবার ওপরে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ টেস্ট সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করে ৬৩.৩৩ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পৌঁছে প্রোটিয়ারা। শতকরা ৫৮.৮৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অজিদের সঙ্গে শেষ টেস্ট ড্র করা ভারতের অবস্থান শতকরা ৫৫.৮৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ম্যাচের এই সিরিজের পর রয়েছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। সেখান থেকে একটি টেস্ট জিতলেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিশ্চিত হবে প্রোটিয়াদের। অন্যদিকে ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলছে অজিরা। প্রথম ৩ ম্যাচের পর ১-১ এ সমতায় রয়েছে দু’দল। সিরিজের বাকি দুইটি টেস্ট জিততে পারলে নিশ্চিতভাবে ফাইনালে যাবে প্যাট কামিন্সরা। তবে ২-২ এ সিরিজ ড্র হলে অজিদের অপেক্ষা করতে হবে নতুন বছরের শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য। লঙ্কানদের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের অন্তত একটিতে জিততে হবে তাদের। নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে মনে হচ্ছিলো টানা তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে ওঠা ভারতের কাছে সময়ের ব্যাপার। তবে এখন তাদের জন্য সমীকরণটা বেশ কঠিন। ভারতের ফাইনাল নিশ্চিত করতে হলে চলমান বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি জিততে হবে ৩-১ ব্যবধানে। অর্থাৎ বাকি দুইটি টেস্ট ম্যাচেই অজিদের হারাতে হবে। ২-২ ব্যবধানে সিরিজ ড্র হলে অপেক্ষা করতে হবে ভারতকে। সেক্ষেত্রে অজিদের লঙ্কা সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে কামিন্সরা হারলে পথ তৈরি হবে ভারতীয়দের। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার জন্য এই ফাইনাল সমীকরণ প্রায় অসম্ভব। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়াকে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট হারানো ছাড়াও তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর দিকে।
সেপ্টেম্বরে চারে উঠে আসা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান অষ্টম। ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা নেই নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড এবং পাকিস্তানেরও। তবে স্লো ওভার রেটের কারণে দলগুলোর পয়েন্ট কাটা হলে এই সমীকরণে পরিবর্তন আসতে পারে।