• ২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

এই ইস্যুর সত্য পক্ষ আমি

usbnews
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
এই ইস্যুর সত্য পক্ষ আমি
নিউজটি শেয়ার করুনঃ
এই ইস্যুর একটি সত্য পক্ষ আমি।হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি সেটাই মুখ্য।হত্যাসহ অন্তত ৯টি মামলার আসামিকে আটক করুন। লাঞ্চিত করার মতো লঘু অপরাধের জন্য আটকদের মুক্তি দিন।
মনে আছে তো? তিনিও একজন মুক্তিযোদ্ধা (গেরিলা)যোদ্ধা ছিলেন, তিনি কোন পলাতক অথবা ভুয়া সনদ নেয়া মুক্তিযোদ্ধা নন । কিন্তু এ বর্বরতার বিরুদ্ধে সেদিন কোন চেতনাবাজরে কোন সমালোচনা বা প্রতিবাদ করতে দেখিনি।
সে দিনতো শিরোনাম হয় নাই – “গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা রক্তাক্ত “
May be an image of 1 person
সমালোচনা করেন নাই কারণ তিনি একসময় বাম রাজনীতি করতেন , তার পর বিএনপিতে যোগদেন এই তো ? তখন মনে করেছিলেন সেই হামলা রাজনৌতিক।
তাহলে সেই যুক্তিতেই বলছি – আব্দুল হাই কানু কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা, হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। তাহলে যারা বিবৃতি দিচ্ছেন অথবা রাজনৈতিক কারণে খুন সহ ৯টি মামলায় অভিযুক্ত আসামির পক্ষে কথা বলছেন কোন যুক্তিতে সেটাও একটা বিশাল প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিশ্চই এর পেছনের পেছনেও কিছু আছে যা প্রায় সবার এ জানা।
শিরোনাম করছেন ” মুক্তিযোদ্ধা কে জুতার মালা পরানো, লাঞ্চিত “
যদি শিরোনাম হতো ” হত্যা,মারামারি, ভাঙচুর, চাঁদাবাজিসহ ৯টি মামলায় আব্দুল আসামিকে জনতার ধোলাই ” তাহলে সেটা ছিল পেশাগত শিরোনাম।
মনে পড়লো বেসরকারি প্রাথমিক স্কুলের একজন শিক্ষককে রাজধানীতে শিক্ষকদের আন্দলোনের সময় জলকামান ও লাটিচার্জ করে হত্যা করা হয়। তিনি ও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। সেদিন কোন চেতনাবাজরে কোন সমালোচনা বা প্রতিবাদ করতে দেখিনি। সেই দিন শিরোনাম হয় নাই – ” অধিকার আদায়ের দাবিতে আন্দোলনে মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষককে হত্যা “
বিশেষ করে হত্যা, মারামারি, ভাঙচুর, চাঁদাবাজিসহ অন্তত ৯টি মামলায় আব্দুল হাই কানু আসামি হওয়া সত্ত্বেও গ্রেফতার না হওয়ায় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিগত বছর গুলোতে কোমরে রশি বেঁধে যখন মুক্তিযোদ্ধাদের বন্যপ্রাণীর মতো ঠেনে হেঁচড়ে নেয়া হয় , তখন আপনারা চুপ ছিলেন এই তো সত্য কথা তাই নয় কি বন্ধু। সেই তালিকা লিখলে কয়েক শত হবে।
এই আবদুল হাই কানুই একদিন আরেকজন মুক্তিযেদ্ধাকে লাথি মেরে পানিতে ফেলে দিয়েছিল। সেদিন মিছিল করেননি কেন?
(সংবাদ পত্রে প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪)
অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলছেন – যে মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৭১ সালের পর ফ্যাসিজম তৈরি করে, ভারতের আধিপত্য কায়েম করেছিল, তারা কিসের মুক্তিযোদ্ধা?
রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি না করে সঠিক চিন্তা করুন-
বিশেষ করে হত্যা, মারামারি, ভাঙচুর, চাঁদাবাজিসহ অন্তত ৯টি মামলায় আব্দুল হাই কানু আসামি হওয়া সত্ত্বেও গ্রেফতার না করলে খুনিরা আস্কারা পাবে ,কারণ তারা বুহ্যে টোরি করে ফেলেছে। এই সাইনবোর্ড ব্যবহার করবে। পরে উল্টো দায়ভার দেবেন পুলিশকে। বলবেন পুলিশ কেন আটক করে নাই।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও আব্দুল হাই কানুকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে ফাঁসির দাবি করেছিল , সেই ভিডিও ও ভাইরাল হয়েছে।
২০১৬ সালে যুবলীগ নেতা আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রকাশ রানা হত্যা মামলায় ১নং আসামী আবদুল হাই ভূঁইয়া কানু। সে সময় কানু ও তার ছেলে গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বিপ্লবকে গ্রেফতার দাবিতে স্থানীয় আ’লীগ সমাবেশ করে। সমাবেশে উপজেলা আ’লীগের প্রচার সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বলেন, আব্দুল হাই কানুর কারণে স্থানীয় আ’লীগ নেতাকর্মীরাও এলাকা ছাড়া।
বাংলাভিশন  –
No description available.
May be an image of text

চৌদ্দগ্রামে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা কানুকে পুনর্বাসনের চেষ্টা বিএনপির একটি অংশের
প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

No photo description available.

 

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে জুতার মালা পরানো কান্ডে দেশজুড়ে পক্ষে বিপক্ষে তোলপাড় চলছে। এ ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার দফতর থেকে বিবৃতি প্রদান করা হয়েছে। ভাইরাল ঘটনায় চৌদ্দগ্রামেও পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক নেতারা। তবে প্রায় সকলেই মুক্তিযোদ্ধাকে জুতার মালা পড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদ জানালেও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুর হাতে ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়টিও তুলে ধরেন। বিশেষ করে হত্যা, মারামারি, ভাঙচুর, চাঁদাবাজিসহ অন্তত ৯টি মামলায় আব্দুল হাই কানু আসামি হওয়া সত্ত্বেও গ্রেফতার না হওয়ায় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এদিকে আব্দুল হাই কানুকে অপমান, অপদস্তের প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপি’র একটি অংশ গত সোমবার রাতে চৌদ্দগ্রাম বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে। এ মিছিলকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পক্ষে বিপক্ষে তোলপাড় সৃষ্টি হয় নতুন করে।

তবে, বিএনপি’র অপর একটি অংশ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জামায়াতের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করেন, এই মিছিলের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা, হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপি’র সদস্য জি.এম তাহের পলাশী মঙ্গলবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দাবি করেন, আব্দুল হাই কানু গং হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি। তাকে জুতার মালা পরানোর ঘটনাটি নিন্দনীয়। কিন্তু আমাদের দল কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় নেতার পক্ষে মিছিল বের করা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। গত ১৭ বছরে এই ফ্যাসিস্টদের কারণে আমরা ঘরে ঘুমাতে পারিনি।

তিনি আরও বলেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপি’র মেয়াদোত্তীর্ণ বর্তমান কমিটি বেগম জিয়ার কারাভোগ নিয়ে, তারেক রহমানের দেশান্তরী নিয়ে একটি মিছিল করতে পারেনি। কিন্তু কানুকে প্রতিষ্ঠিত করতে তারা ঠিকই মিছিল করেছে। একজন ফ্যাসিস্টের পক্ষে মিছিল বের করায় আমি এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি সাজেদুর রহমান মোল্লা হিরণ বলেন, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইকে লাঞ্ছিতের ঘটনাটি নিন্দনীয়। যারাই এ কাজটি করেছে অন্যায় করেছে। তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দানব দলটি এখনো বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ সরকারকে ব্যর্থ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চৌদ্দগ্রামের ঘটনাটি তার অংশ কিনা তাও খতিয়ে দেখা দরকার। এই আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দলের একজন সদস্যের পক্ষ নিয়ে বিএনপি’র নীতি নির্ধারণী ফোরাম ছাড়া কিভাবে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপি প্রতিবাদ মিছিল করে সেটাও আমার বোধগম্য নয়। আমি এ ব্যাপারে আমার জেলা সহ কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা বিগত সময়ে রাজপথে থেকে মামলা হামলার শিকার এবং জেল খেটেছিলাম। কিন্তু তখন কেউ প্রতিবাদ মিছিল করেনি। আজকে মুক্তিযোদ্ধার নাম দিয়ে ভিন্ন দলের একজন লাঞ্ছিত হয়েছে তার জন্য প্রতিবাদ মিছিল করলো বিএনপি’র নাম দিয়ে। আমার অনুরোধ রইলো এই বিচ্ছিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে কোনভাবেই জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করা যাবে না।

এই আবদুল হাই কানুই একদিন আরেকজন মুক্তিযেদ্ধাকে লাথি মেরে পানিতে ফেলে দিয়েছিল। সেদিন মিছিল করেননি কেন?

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি তোফায়েল হোসেন জুয়েল বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুর সাথে যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এক জন মুক্তিযুদ্ধা হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে উনার অবদানকে অস্বীকার করা যাবে না। আমার জানামতে ব্যক্তিগত পুর্বের আক্রোশ থেকে আবুল হাসেম বা অন্য যারা তাদের পরিবারের সাথে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সময়ের ঘটনার আক্রোশ থেকে হয়তো ঘটিয়েছে। আমি এমন ঘটনার নিন্দা জানাই।

এ সময় তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হলেও তার নামে হত্যা মামলাসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে। কিন্তু চৌদ্দগ্রামের বিএনপি’র ব্যানারে যারা কানুর পক্ষে মিছিল করলো তাদের কি একবার ও মনে পড়ে না দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কথা? এক কপড়ে তাকে তার বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে, একবারও মনে পড়ে না দেশ নায়ক তারেক রহমানের কথা? যাকে সতেরটি বছর দেশান্তরিত করে রেখেছিল। তাদের কি মনে পড়েনা যারা আজকে মিছিল করলেন, আমাদের অনেক নেতা কর্মীকেও তো হত্যা করেছে, অনেকের বাড়িঘরও ভাংচুর করেছে আব্দল হাই কানুরা। তখন মিছিল করেন নাই কেন? নির্বাচন আর ভোট লাগবে এই জন্যই তো? এই আবদুল হাই কানুই একদিন আরেকজন মুক্তিযেদ্ধাকে লাথি মেরে পানিতে ফেলে দিয়েছিল। সেদিন মিছিল করেননি কেন?

May be an image of 1 person, temple and text

ভাইরাল কিছু প্রশ্নকে এড়িয়ে যায় যাবে কি ?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হচ্ছে , খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ডক্টর কর্ণেল অলি আহমদ বীর বিক্রমকে যেদিন ছাত্রলীগ রক্তাক্ত করেছিলো সেদিন চেতনা কোথায় ছিল?

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হচ্ছে , আওয়ামী লীগের ১৫ বছর শত শত মুক্তিযোদ্ধাকে যে ভাবে হেনস্তা করা হয়েছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সে তালিকা করলে পত্রিকার পাতা ভরে যাবে। স্বাধীনতার ঘোষণ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রী তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কিভাবে হেনস্তা করে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল? মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকাকে তো বাংলাদেশে মরতেও দেয়নি হাসিনা সরকার। ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেনের সঙ্গে কি আচরণ করা হয়েছে? রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মুক্তিযোদ্ধাদের ১৫ বছর নানাভাবে হেনস্তা করেছে আওয়ামী লীগ। এমনকি হাসিনা রেজিমে বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ পর্যন্ত করতে দেয়া হয়নি। প্রশ্ন হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা হলেই কি তার সাতখুন মাফ?

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হচ্ছে ,

পিউ ভাইয়েরা
খুন ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে বিগত ৮ বছর আওয়ামী শাসনামলে বাড়িছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কানুর অপমানে যারা আজ বিধ্বস্ত তারা রক্তাক্ত মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার ব্যাপারে কোন প্রতিবাদ করেছিল?
আমি এটা দুই মুক্তিযোদ্ধার শাস্তির তুলনা করছি না, জাস্ট মুক্তিযুদ্ধ প্রেমের একটা নমুনা দেখতে চাচ্ছি।
আজ যারা জ্বলছেন সেদিন কি জ্বলে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন?দেননি।
তাইলে আপনাদের প্রেম কি মুক্তিযুদ্ধের সাথে না আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সাথে। উত্তর জানতে চায় মন।
এখানে উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের গেরিলাযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা মৃত্যুর আগে দেশে ফিরতে চেয়েছিল, খুনি হাসিনা তাকে দেশে ফেরার অনুমতি দেয়নি, দেখতে দেয়নি প্রিয় বাংলার মুখ।
স্থানীয় বিএনপি জামায়াত নেতা কর্মীদের এলাকা ছাড়া করেন মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু ও তার ছেলে এমন অভিযোগ রাজনৈতিক মহলে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হচ্ছে , কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাতিসা এলাকায় আবদুল হাই কানু নামে এক মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আগস্টের গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর  শনিবার নিজ এলাকা লুধিয়ারায় ফিরে আসেন আবদুল হাই কানু। এরপর  রোববার স্থানীয় কয়েকজন তাঁকে লাঞ্ছনা করে এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
মুক্তিযোদ্ধার খেতাব ব্যবহার করে আবদুল হাই কানু এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতেন। স্থানীয় যুবলীগ নেতা রানা হত্যা মামলার আসামি তিনি। আওয়ামীলীগ–জামায়াত কেউ বাদ যায়নি তার অত্যাচার থেকে। কানুর নির্দেশে জামায়াত ইসলামীর ওয়ার্ড সভাপতি মরহুম আব্দুল হালিম মজুমদারকে অপমান করে পুকুরে ফেলা দেওয়া হয়, জামায়াত শিবিরের নেতা কর্মীদের বাড়িঘরে হামলার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এ ছাড়া লুদিয়ারা ও আশপাশের এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা কানু ও তাঁর ছেলে বিপ্লব আধিপত্য বিস্তার করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় অপর এক বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন মজুমদার জানান, দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে বিক্ষুব্ধরা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হচ্ছে , খুন  সহনয়  মামলার মুক্তিযোদ্ধার ব্যাপারে মিডিয়া যেভাবে নেংটা হয়ে নেমেছে, গয়েশ্বর রায় কে যখন রাস্তার ভিতর পিটিয়েছিল তখন এই মিডিয়া কোথায় ছিল!

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান জেনারেল মুহাম্মদ ইব্রাহিম (বীর প্রতীক ) কে যখন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে আক্রমণ করে গাড়ি ভাঙচুর ও হত্যার প্রচেষ্টা হয়েছিল তখন কোন বিবৃতি লক্ষ্য করা যায় নাই।
যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হচ্ছে ,  জুতার মালা ও এলাকা ত্যাগ করা কি খুনের চেয়ে বড় অপরাধ ? ৯ মামলার আসামি খোলা বাতাসে ঘুরবে আর ক্ষুব্ধ হয়ে লাঞ্চিত করলে কারাগার।
May be an image of 1 person and text
আগে কি সবাই সরব ছিলেন ? হটাৎ কেন এতো সরব ?

নয় খুন সহ ৯ মামলার অভিযুক্ত আসামী মুক্তিযোদ্ধার জন্য বিবৃতি কিন্তু অন্যদের বেলায় সেটা হয়নি কেন সেই প্রশ্ন গুলোই ভাইরাল।
যেহেতু রাজনৌতিক পরিচয় জেনে শুনেও বিবৃতি দেয়া হচ্ছে , তাহলে অন্যদের বেলায় কেন নীরব ছিলেন সেই প্রশ্ন অধিকাংশ লোকের।

ব্যারিস্টার মইনুলকে ছাত্রলীগের চড়-থাপ্পড়, ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করা হয় তখন কোন বিবৃতি লক্ষ্য করা যায় নাই।

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান জেনারেল মুহাম্মদ ইব্রাহিম (বীর প্রতীক ) কে যখন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে আক্রমণ করে গাড়ি ভাঙচুর ও হত্যার প্রচেষ্টা হয়েছিল তখন কোন বিবৃতি লক্ষ্য করা যায় নাই।

০৪ নভেম্বর ২০১৮,
রণক্ষেত্র রংপুর আদালত প্রাঙ্গণ
ব্যারিস্টার মইনুলকে ছাত্রলীগের চড়-থাপ্পড়, ডিম ও জুতা নিক্ষেপ
May be an image of 3 people and text

জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগে বলা হচ্ছে, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সামনেই এ ঘটনা ঘটেছে।

(১০ ডিসেম্বর, ২০২১ )

May be an image of 7 people and text

বৃহস্পতিবার ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩ .
জুতা দিয়ে সাদেম হাওলাদারকে মারধর করে।

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনায় এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জুতা দিয়ে লাঞ্ছিত করে ছাত্রলীগের এক কর্মী।

মুক্তিযোদ্ধা সাদেম হাওলাদার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, একই গ্রামে তার বোনের স্বামীর বাড়ির বাসিন্দা অলিউল্লাহ। পারিবারিক বিষয় নিয়ে দুদিন আগে বোনের সঙ্গে অলিউল্লাহর ঝগড়া হয়। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের দেউলী বাজারে অলিউল্লাহ কয়েকজন সঙ্গীসহ তার ওপর চড়াও হয়। সে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে ব্যর্থ হয়ে জুতা দিয়ে সাদেম হাওলাদারকে মারধর করে। পরে স্থানীয়রা তাকে থামায়।

May be a doodle of map and text

 

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা

May be an image of ‎1 person and ‎text that says '‎যায়যায়দিন_, সর্বশেষ সারাদেশ জাতীয় সারাদেশ রাজনীতি আনতর্জাতিক খেলাধুলা অর্বনীতি বিনোদন তথ্য প্রযুক্তি ইসলাম ខ ধর্ম ভিডিও শ্রীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চঞিত করার অভিযোগ : শ্রীপ্নুর (গোাজীপুর) প্রতিনিধি ২৮ যেক্তর্রারি ২০২৪, ১৩:৫৫ 마2위기2도트 :የማርሎም (ชดรส ক্ধুবনদু: ဖ) বীব্সধিণী্ত্থ የመዲስ Grapr 이178\730184 이구용 مل 5/ ፖያቤጠቅ 4PN33 01う 01573589472 ול וה.אלבחתור 49ရင်ွူခ့ြန်မ ملد1و2-ندزده ごの。 پراهم" เมสุ6กุสากธร สำชนัส A1212/08161 ছবি: সংগাহীত গাজী গাজীপুরের পুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাস্িত করার অভিযোগ উঠেছে সরকারি এক কর্মকর্তার বিরুন্ধে মঙ্গলবার এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন সহানায় মুক্তিযোন্ধারা‎'‎‎

২৪ এপ্রিল, ২০২৪( বাংলাদেশ প্রতিদিন) , ব্রাহ্মণবাড়িয়া
চাঁদা তোলার প্রতিবাদ করায় মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিত

May be an image of text that says 'প্রকাশ: 00:00, বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ নগর জীবন চাঁদা তোলার প্রতিবাদ করায় মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্তিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া /ব্রান্মণবাড়িয়া O প্রতিনিধি আখাউড়ায় চাঁদা তোলার প্রতিবাদ করায় মো. আবদুস সামাদ নাম এক মুক্তিযোদ্ধাকে উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ইবনে মাসুদ লাহ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আখাউড়া থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। শ্রমিকলীগ নেতা ইবনে মাসুদ আখাউড়া পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তাকজিল খলিফার চাচাতো ভাই। ইবনে মাসুদসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে আখাউড়ার বিভিন্ন সড়কে যানবাহন থেকে চাঁদা তোলা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। চাঁদার বিষয়ে প্রতিবাদ করায় মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিত হতে হয়েছে বলে ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।'

প্রকাশিত:১৩ জানুয়ারি ২০২২

May be an image of 1 person, slow loris and text

যুবলীগের নেতা চেয়ারম্যানের হাতে মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিত : বিচার দাবি
প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

দৈনিক ইনকিলাব

May be an image of text
বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার ধনখালী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা কেশব লাল মন্ডলকে জনসম্মুখে লাঞ্ছিত করায় মিঠাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইস্রাফিল হাওলাদারকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মোংলা শাখা ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

লিখিত বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা কেশব লাল মন্ডল বলেন, মোংলা থানার মিঠাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইস্রাফিল হাওলাদার যুবলীগের নেতা । নৌকা প্রতীকে মিঠাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর থেকেই শুরু হয় তার দুর্নীতি, টেন্ডারবাজী ও ক্যাসিনো ব্যবসা। চেয়ারম্যান হওয়ার আগে তার আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তার পিতা ছিল একজন ফেরিওয়ালা। কিন্তু অল্প কয়েক দিনেই কোটি কোটি ঠাকার ব্যাংক ব্যালেন্স ও সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে। দুটি বিলাসবহুল বহুতল ভবন, অত্যাধুনিক হোটেল, পাজারো গাড়ি, ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে একাধিক প্লট। সরকারি জমিও দখলে রেখেছে। সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে সব নিয়ন্ত্রণ করে।

তিনি বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের কর্মী হওয়ায় একপর্যায়ে তার নানা অপকর্মের প্রতিবাদ করি। এতে সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে জনসম্মুখে আমাকে নানাভাবে লাঞ্ছিত করে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। আমি থানায় মামলা করতে গেলেও থানা কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করেনি। এমতাবস্থায় আমি ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে জীবন অতিবাহিত করছি। তার হাত থেকে বাঁচতে আমি প্রধানমন্ত্রীসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি এবং তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।